ভারতে আটকেপড়ারা রোববার থেকে হিলি বন্দর দিয়ে ফিরতে পারবেন
ভারতে চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে গিয়ে আটকেপড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীরা আগামীকাল রোববার থেকে দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। অবশ্য তাদের পাসপোর্টে ভিসা থাকার পাশাপাশি কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশন থেকে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) থাকতে হবে। এরপরেই তারা দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
হিলি চেকপোস্ট সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল রোববার থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এই লকডাউন ঘোষণা করেন। লকডাউনের কারণে সেখানে ট্রেনসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ থাকবে। এ কারণে ভারতের আটকাপড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীরা ফিরতে দুর্ভোগে পড়তে পারেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। গত ১২ মার্চ সরকার ভারতে অবস্থান করা বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই আলোকে আগামীকাল রোববার থেকে ভারতে অবস্থান করা বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের এনওসি নিয়ে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে দেশে আসতে পারবেন। এ সময় তাদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে।
ওসি আরও জানান, শুধুমাত্র ভারতে অবস্থান করা বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীরা দেশে ফিরতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশি কোনো পাসপোর্টযাত্রী বা বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয় কোনো পাসপোর্টযাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
গত ১২ মে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর ছাড়াও আরও তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এই বন্দর তিনটি হচ্ছে দিনাজপুরের হিলি, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনাসমজিদ স্থলবন্দর। এই তিন বন্দর দিয়ে প্রবেশের সিদ্ধান্ত আগামীকাল রোববার থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বভাবিক রয়েছে। ভারতীয় ট্রাকগুলো আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে বন্দরে প্রবেশের পর জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ট্রাকের চালককেও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। চালকরা যাতে বন্দরের বাইরে যেতে না পারেন সেজন্য পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ নজরজারি বাড়িয়েছেন। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে।