লক্ষ্মীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
লক্ষ্মীপুরে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুরের দিকে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চর পাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী লাগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর গাড়িসহ বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আধা ঘণ্টার জন্য সাময়িক বন্ধ রেখে আবার চালু করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকাল থেকে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন ও রামগতি-কমলনগরের ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শুরু হয়। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রগুলোতে কিছু বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, ভোট চলাকালে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নৌকার পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করতে স্থানীয় চর পাগলা কেন্দ্রে যায়। এ সময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করলে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর গাড়িসহ তাঁর সঙ্গে থাকা আরও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘোড়া প্রতীকের পদপ্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতনের সমর্থকরা জানান, শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। হঠাৎ আওয়ামী লীগ নেতারা নৌকার পক্ষ নিয়ে কেন্দ্র দখল করতে এলে ভোটাররা তাদের ধাওয়া করে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘কেন্দ্রের বাইরে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় আমার গাড়িসহ বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।’
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আতিক আহমেদ জানান, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় ২০ মিনিট ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে শৃঙ্খলা ফিরে আসে।