আশঙ্কাজনকহারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করে পরিপত্র জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপসচিব মো. আবুজাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। অতএব, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং আশু মেয়াদোত্তীর্ণ হবে এমন ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ১০১ ধারা মোতাবেক প্রশাসনিক অসুবিধা দূরীকরণার্থে বিদ্যমান ইউনিয়ন পরিষদসমূহকে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভোট স্থগিত করা হয়। পরে গত ৩ জুন ভোটের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করে ২১ জুন করা হয়। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়। বাকি ২০৪টি ইউপিতে গত ২১ জুন ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরেই দেশে সবচেয়ে বড় নির্বাচন-ইউনিয়ন পরিষদের ভোট। সবশেষ ২০১৬ সালের প্রথম দিকে পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।

গত কয়েকদিনে আশঙ্কাজনকহারে করোনা সংক্রমণ বাড়ায়, বাকি প্রায় চার হাজার ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখতে কমিশনকে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও স্থানীয় সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনও আপাতত স্থগিত থাকবে।