চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি : আফরান নিশো
করোনার বিধিনিষেধের সময় শুট করেননি, সে কারণে এবারের ঈদে কাজ মাত্র ১০টি। হাতেগোনা এই কাজ দিয়েই দর্শক-বিচারে এবারের ঈদে শীর্ষ অভিনেতা আফরান নিশো।
সব ধরনের দর্শকের কাছেই এবার নিশো ছিলেন দারুণভাবে সমাদৃত। সমালোচকদের দৃষ্টিতে যেমন, জনপ্রিয়তার বিচারে তেমনই সেরা অভিনেতার তকমা জুটেছে।
এবারের ঈদে কম কাজ করা প্রসঙ্গে নিশোর ভাষ্য, ‘কোভিড এবং লকডাউনের কারণে আসলে গত এক-দেড় বছর ধরেই কাজ কম করা হচ্ছে। সরকার যখনই লকডাউনে দিয়েছে, আমি শুটিং থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। আসলে আমি কখনওই সংখ্যা বিচার করে কাজ করতেও চাইনি। একজন শিল্পী যখন বড় হয়, তার কিছুটা হলেও চাহিদা তৈরি হয়, তখন ইন্ডাস্ট্রির চাপে অনেক কাজ হয়তো করতে হয়। কিন্তু বরাবরই আমি কম কাজে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।’
ঈদে যেখানে নিশোর সমসাময়িক অভিনেতারা প্রায় দ্বিগুণ-তিনগুণ নাটকে অভিনয় করেছেন, সেখানে এত অল্প নাটকে অভিনয় করেও নিশোর ‘চিরকাল আজ’, ‘আপন’, ‘হ্যালো শুনছেন’, ‘পুনর্জন্ম’, ‘প্লাস ফোর পয়েন্ট ফাইভ’, ‘কায়কোবাদ’ প্রভৃতি কাজ প্রশংসায় ভাসছে।
সেই প্রশংসায় ভাসাকে বিনয় দেখিয়ে নিশো বলেছেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি ভালো কিছুর আশায়। এভাবে নিয়মিত শিখছিও। সুতরাং, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবেই চেষ্টা করে যেতে যাই, শিখে যেতে চাই।’
আফরান নিশো প্রয়াত শক্তিমান অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদিকে অভিনয়ের গুরু মানেন। বলা যায়, তিনি তাঁর গুরুর মতোই বৈচিত্র্যময়। এবারের ঈদে বেশ বৈচিত্র্যময় কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।
সে প্রসঙ্গে নিশোর ভাষ্যটা এমন, ‘যাঁরা ভার্সেটাইল অভিনেতা, তাঁদের কাছ থেকে আমি নিয়মিত শিখি। সবাই জানেন, হুমায়ূন ফরীদি ভাইকে আমি নিজের গুরু মানি। তাই আমিও তাঁর মতো ভার্সেটাইল অভিনেতাই হতে চেয়েছি। তা ছাড়া নিয়মিত একই চরিত্রে বার বার অভিনয় না করে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে আমার ভালো লাগে। নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে যখন একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করি, তখন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি; যে চেষ্টা অব্যাহত আছে আমার।’