নারায়ণগঞ্জে গণপরিবহণ না থাকায় বিপাকে শ্রমিকরা, হাসপাতালে টিকার দীর্ঘ লাইন
সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা খোলা থাকায় গণপরিবহণের অভাবে শ্রমিকরা নানাভাবে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার ইজিবাইক, রিকশা, পিকআপভ্যান, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আবার অনেককে হেঁটেই ছুটতে দেখা যায় নিজ নিজ কর্মস্থলে।
ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীসহ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার শিল্প কারখানা রয়েছে। শ্রমিক রয়েছে সোয়া আট লাখ। তবে তাদের বেশিরভাগকে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। শ্রমিকদের বেশিরভাগই মাস্ক পরেনি।
এদিকে, ঢিলেঢালাভাবেই চলছে নারায়ণগঞ্জে বিধিনিষেধ কার্যক্রম। বেড়েছে ছোট ছোট গাড়ি ও মানুষ চলাচল।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ২৩টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। টহলরত অবস্থায় রয়েছে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের ২১টি মোবাইল টিম। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রয়েছে ২৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে, মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নারায়ণগঞ্জে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৩ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯৮৭ জনের। এতে আক্রান্ত হয়েছে ২৬৪ জন। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ২৬৬ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৯৫০ জন। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ হয়েছে এক লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৪ জনের।
এদিকে আজ সকাল থেকেই জেনারেল হাসপাতাল ও করোনা ডেডিকেটেড ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এবং নমুনা পরীক্ষার দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।