সোজাকথা
রাজধানীতে দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে
বহুদিন আগের হলেও কেন যেন প্রবাদ প্রবচনগুলো কখনো পুরোনো হয় না। সময় বদলেছে, কত বদলে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা। মানুষের জীবনে আদিকালের সেই প্রবচনগুলোর প্রাসঙ্গিকতা কখনো হেরফের হয় না। যেমন ইদানীং ঢাকা শহরের পথঘাটে বেরোলেই আমার মনে হয়, যত গর্জে তত বর্ষে না—এই প্রবাদবাক্য কতটা সত্য! তিলোত্তমা ঢাকা নগরী গড়ে তুলতে কত আয়োজন করে দুই ভাগ করা হলো শহরটিকে। দু-দুজন ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব ঢাকার অভিভাবক হলেন। দীর্ঘদিনের অভিভাবকহীন ঢাকাবাসী হাঁফ ছেড়ে বাঁচল—যাক, এবারে কিছু একটা হবে। সেই কিছু একটা দেখার আশায় কেটে গেছে বছর। কিন্তু দৃশ্যমান উন্নয়নের দাবিদার দুই নগরপিতা হলেও নগরবাসীর দুর্ভোগ কমেনি কোনো অংশেই। মাঝখান দিয়ে উন্নয়নের নামে পুরো শহরটি এখন যেন দুর্ভোগের অপর নামে পরিণত হয়েছে।
আমার কথা শুনে নিশ্চয়ই অনেকেই কপাল কুঁচকে বলবেন, আর কতটা উন্নয়ন আশা করেছিলেন আপনি? উন্নয়নের লম্বা ফিরিস্তি তুলে ধরে আমার যুক্তি খণ্ডাবেন খুব ভালো করেই। তবে এটা ঠিক, মেয়রের গুণেই তেজগাঁওয়ের ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। যার জন্য উত্তরের মেয়র নিঃসন্দেহে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে এটুকু করেই কিন্তু মেয়রের দায়িত্ব শেষ হয় না। তিনি হচ্ছেন ঢাকা শহরের সবচেয়ে বেশি অভিজাত এলাকার নগরপিতা; কিন্তু তাঁর সাম্রাজ্যে যে তুলনামূলক কম উন্নত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো রয়েছে, সেই এলাকাগুলোর প্রতি অবহেলা কিন্তু চোখে পড়ার মতো। মেয়র আনিসুল হকের যেকোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড উদ্বোধন হয় গুলশান-বনানী থেকে, যেন এর বাইরে অন্য কোনো এলাকার অভিভাবক নন তিনি।
এদিকে, উত্তরের মেয়র নাম করার মতো কিছু কাজ করে দেখাতে পারলেও প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুরান ঢাকাবাসীকে আস্থায় নেওয়া মেয়র হানিফপুত্র সাঈদ খোকন কিন্তু এখনো অনেক পিছিয়ে। সমস্যাবহুল পুরান ঢাকার সমস্যার গভীরে যাওয়ার বদলে তিনি ব্যস্ত সমস্যাকে ধামাচাপা দেওয়ায়। ঢাকা দক্ষিণের সমস্যাগুলোকে তিনি নির্বাচনের আগে যেভাবে চিহ্নিত করে দেখিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, সরকারের সহায়তা নিয়ে তিনি এগুলো খুব দ্রুতই সমাধান করতে পারবেন। বছর ঘুরে এলেও দক্ষিণের বাসিন্দারা এখন পর্যন্ত কোনো উন্নয়নের মুখ দেখতে পারেননি; বরং সেই চিরাচরিত ভোগান্তিগুলো যেন দিনে দিনে আরো বাড়ছে। খোদ মেয়রের বাসার সামনে থেকে নাজিরাবাজার, বংশাল, আরমানিটোলাসহ পুরান বিশাল এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা ভয়াবহ। রোজার আগে ওই এলাকার সড়কগুলোতে আমি নিজে দেখেছিলাম রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। তখন ভেবেছিলাম, যাক বাঁচা গেল, ঈদের আগে রাস্তাগুলো ভালো হবে, মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। কিন্তু দুদিন আগে সেখানে গিয়ে দেখি, রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ। জায়গায় জায়গায় গর্ত, ভাঙা, যানবাহন চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এলাকাবাসী ক্ষোভ জানালেন, মেয়র যেহেতু পুরান ঢাকায় এখন থাকেন না, তাই এখানকার মানুষের দুর্ভোগও তাঁকে স্পর্শ করে না।
রাস্তা খারাপ, তাই স্বাভাবিকভাবেই গাড়ি চলাচলে নিত্যদিনকার দুর্ভোগ যানজট। এখানেই দক্ষিণ নগরবাসীর ভোগান্তি শেষ হয়ে যায়নি। আছে পানির সমস্যা, পয়োনিষ্কাশনের জটিলতা, মশার উপদ্রব, ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের অপ্রতুলতাসহ আরো অনেক সমস্যা। মেয়র সাহেব এখন পর্যন্ত অবৈধ পার্কিং সরাতে পারেননি, বরং নানা রকম স্বজনপ্রীতির বেড়াজালে অনেকটাই আষ্টেপৃষ্ঠে পড়েছেন তিনি। খুব শিগগিরই দৃশ্যমান কোনো সাফল্য দেখাতে না পারলে তাঁর দেওয়ার কথারই বরখেলাপ হবে, সেই বিষয়টি এখনই ভেবে দেখার সময় মেয়রের।
রাজধানীতে বড় যান চলাচলের মতো প্রধান সড়ক রয়েছে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। উত্তর ও দক্ষিণ—এ দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর রাস্তার প্রায় অর্ধেকই বেহাল। এ বছরের শুরুর দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের করা জরিপেও এমনটি দেখা গেছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের করা তালিকায়ও উঠে এসেছে এমন তথ্য।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রায় সাড়ে ৭০০ সড়কে একযোগে অপরিকল্পিতভাবে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এর মধ্যে ডিসিসি উত্তরের ৪৫০টি সড়ক। বাকিগুলো দক্ষিণের। আর এসব সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি চলছে খুবই ধীরগতিতে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নেই কোনো সঠিক তদারকিও। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের দায়িত্ব দিয়েই যেন দায় সেরেছে দুই ডিসিসি। ফলে ঠিকাদাররা যেমন ইচ্ছা তেমনভাবেই খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করছেন। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
মগবাজার, মালিবাগ, খিলগাঁও, তালতলা, শাহজাহানপুর, মুগদাপাড়া, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, নিউমার্কেট, মহাখালী, উত্তরাসহ প্রায় সব এলাকাতেই চলছে রাস্তা মেরামতসহ দুই ডিসিসির নানা উন্নয়নমূলক কাজ। এ ছাড়া রাজধানীর মিরপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, আজিমপুর, মানিকনগর, বাসাবো, গোপীবাগ, গোলাপবাগ, খিলক্ষেতসহ অনেক এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ির দৃশ্য একই। ফলে রাজধানীর অনেক রাস্তাই এখন চলাচলের অনুপযুক্ত। নগরীর পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণের প্রায় সব এলাকার পাড়া-মহল্লার রাস্তার বেহাল দশা। বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাবে প্রতিবছর একই সড়ক একাধিকবার কাটা হচ্ছে। বাড়ছে নাগরিক দুর্ভোগ, অপচয় হচ্ছে সরকারি অর্থ। বর্ষা শেষ হলেও থামেনি বৃষ্টি। তাই ভোগান্তি যেন কমছে না, বেড়েই চলেছে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট দুই হাজার একশ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এক হাজার কিলোমিটার সড়কের অবস্থাই করুণ। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বেহাল রাস্তা মেরামতের জন্য কিছু কিছু দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, আরো কিছু দরপত্র আহ্বান করা হবে কিছুদিনের মধ্যেই। এসব প্রক্রিয়া শেষে মেরামত কাজ শুরু করতে আরো কয়েক মাস লেগে যাবে। একের পর এক ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্তভাবে মেরামত কাজ শেষ হতে আগামী ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
জানা গেছে, সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি কাজের জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি থাকলেও তার তোয়াক্কা কেউ করছে না; বরং সরকারের এক বিভাগের সঙ্গে আরেক বিভাগের সমন্বয়হীনতা কাজের গতিকে আরো কমিয়ে দিচ্ছে। এতে একদিকে যেমন রাস্তার উন্নয়নকাজের প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নগরপরিকল্পনাবিদরা বারবার বলে আসছেন, বিক্ষিপ্তভাবে ঢাকার ছোট-বড় বিভিন্ন সড়কে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীন কর্মযজ্ঞে উন্নয়নের সুফল ভোগ করার চেয়ে বিড়ম্বনাই যেন বেশি হচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সড়ক মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে ২৩৫টি ওয়ার্কঅর্ডার দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ডিএসসিসির আওতাধীন ভাঙা সব সড়ক মেরামত হয়ে যাবে। এর জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভাঙা সড়ক দ্রুত সংস্কারে কাজ চলমান রয়েছে। আঞ্চলিক অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। চাহিদাপত্র পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের কাজ শেষ করা হবে। বছরজুড়েই অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি-কাটাছেঁড়ায় গুলশান-বনানীর সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। কোথাও চলছে স্যুয়ারেজ লাইনের প্রশস্ত পাইপ বসানোর কাজ। আবার কোথাও চলছে ওয়াসার পানি সরবরাহের লাইন মেরামত। টিঅ্যান্ডটি ও বিদ্যুৎ বিভাগের ভূগর্ভস্থ লাইন সংস্কার করতেও মাঝবরাবর সড়ক কেটে চষা জমি বানিয়ে রাখা হয়েছে। শেষই যেন হচ্ছে না খননকাজ। দিন, সপ্তাহ পেরিয়ে কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এসব সড়ক চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে না।
বিভিন্ন সংস্থার লাইন কিংবা স্যুয়ারেজের পাইপ বসানোর জটিলতাতেই শুধু সড়ক বন্ধ থাকছে তা নয়। সংলগ্ন ড্রেন পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেও ব্যস্ততম সড়কের অর্ধেকটা পরিত্যক্ত করে ফেলা হয়েছে। গুলশান এভিনিউ, নিকেতনমুখী লিংক রোড, গুলশান ১ থেকে গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত এবং কূটনৈতিক এলাকা খ্যাত বারিধারার প্রধান সড়ক প্রগতি সরণির অর্ধেক ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা তুলে আটকে রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা বলেছেন, তরল ময়লা রাস্তার ওপর কয়েক দিন রাখা হলে তা রোদে শুকিয়ে বহনযোগ্য হয়, এরপরই ট্রাকে তুলে তা অন্যত্র নেওয়া হয়। কিন্তু ড্রেনসংলগ্ন রাস্তার একাংশ জুড়ে ফেলে রাখা ময়লা-আবর্জনা ১০-১২ দিন ধরেই দেখতে পাচ্ছেন বাসিন্দারা।
গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর পেরিয়ে বনানীর কাকলী মোড়ের দিকে এগোতেই কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর দুই পাশেই খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বর পেরিয়ে সিটি করপোরেশন মার্কেটের পাশ থেকে কয়েকশ গজ সড়কে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ। বাঁশের আঁকাবাঁকা বেড়া, ড্রামের প্রতিবন্ধকতা পাশ কাটিয়ে বিপজ্জনকভাবে বাস-মিনিবাস যাতায়াত করে উল্টো রাস্তায়। সেখানে সড়কের বিরাট অংশ ঘেরাও দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ির মাধ্যমে বড় ব্যাসার্ধের স্যুয়ারেজ লাইন বসানোর কাজ চলছে। এ নির্মাণকাজের জন্য গুলশান ১ নম্বর থেকে মহাখালীগামী সড়ক এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ৯টি লিংক রোডে যাতায়াতকারী যাত্রীরা দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।
আজাদ মসজিদসংলগ্ন রাস্তার মাঝামাঝিতে এবং ধানসিঁড়ি হোটেল গলির অর্ধেকটা জুড়ে খুঁড়ে রাখা হয়েছে দুই মাস আগে। ঠিকাদারের সঙ্গে জটিলতার কারণে সেখানে ওয়াসার কাজ স্থগিত থাকলেও রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়নি আর। বাড্ডা-ভাটারা এলাকার অনেক রাস্তা দিনের পর দিন নোংরা অবস্থায় থাকায় কোনটা রাস্তা, কোনটা ড্রেন-নর্দমা তা মানুষ ভুলে যেতে বসেছে। পা বাড়ালেই গর্ত। পানিভর্তি খোলা ড্রেনে আটকে পড়ে যানবাহনের চাকা, উল্টে যায় মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা।
মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায়। রাস্তার দুর্দশা ঘোচানোর কথা বলে সংস্কারের অর্থ নেওয়া হচ্ছে ঠিকই, রাস্তা আর ঠিক হচ্ছে না। জানা গেল, গত অর্থবছরে সেখানে সংস্কারের জন্য ৭২ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। আরও সাত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে ড্রেনেজ সিস্টেম উন্নয়নের জন্য। কিন্তু এত টাকা কোথায় ব্যয় হলো, কোথায় সংস্কার হলো রাস্তা, তা ভেবে পান না স্থানীয় বাসিন্দারা। উড়ালসড়ক নির্মাণের সবচেয়ে ভয়াবহ খেসারত দিচ্ছেন বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ এবং মগবাজার থেকে সাতরাস্তা মোড় পর্যন্ত চলাচলকারী মানুষজন। ব্যস্ততম এ দুটি সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে কাটাকাটি, মাটি উত্তোলন করে স্থানে স্থানে ঢিবি বানানো, নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখায় বেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী-শ্যামপুর থেকে উত্তরের উত্তরা, পূর্বের বাসাবো থেকে পশ্চিমে গাবতলী পর্যন্ত সর্বত্রই একই অবস্থা। সরেজমিন দেখা যায়, গেণ্ডারিয়া এলাকার রাস্তা, খিলগাঁও এবং রামপুরার বেশির ভাগ রাস্তা, পূর্ব রামপুরার ঝিলকানন, হাজীপাড়া, জাকের রোড, কুঞ্জবন সড়কসহ আশপাশের অলিগলি, মিরপুরের মাজার রোড, গাবতলী, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বাড্ডার রাস্তাঘাট, বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ এবং মগবাজার থেকে সাতরাস্তা মোড় পর্যন্ত রাস্তায় যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তারপরও কি মেয়র মহোদয়রা নানা সমন্বয়হীনতার অজুহাত তুলবেন? এভাবে আর কত দিন চলবে?
লেখক : সিনিয়র রিপোর্টার, এটিএন নিউজ।