মাঠের বাইরে
তাসকিনের সাদা চুলে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি ছবি আপলোড করা হয়। সাদা চুলের তাসকিনকে দেখা যাচ্ছে জেন্টস পার্লারে বসা। ছবিটি শেয়ার করার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোপের মুখে পড়েন তাসকিন আহমেদ। কেন এমন কাণ্ড? তির্যক মন্তব্যে ভেসে যেতে থাকে তাসকিন আহমেদের ফেসবুক পেজ। ঠিক একদিন পর ২৪ অক্টোবর ৮টা ৩৯ মিনিটে একই পেজ থেকে আরেকটি ছবি পোস্ট করে স্বরূপে ফিরে আসেন তাসকিন। দেখা গেছে চিরচেনা রূপে। সঙ্গে ক্যাপশনও জুড়ে দেন, ‘যদি আমার ভক্তরা খুশি হন, তাহলে আমিও খুশি।’
সাদা চুলের ছবিটা পোস্ট করার পর ভক্তদের তির্যক মন্তব্যের উত্তরে তাসকিন আহমেদের ভেরিফায়েড পেজ বলছে, ‘প্রকৃতপক্ষে চুলের এই রংটা ছিল একদিনের জন্য। কিন্তু লক্ষ করা গেল কিছু মানুষ অনেক বেশি ক্রেজি। ভুলে যাবেন না, আমিও একজন মানুষ। একজনকে কোনো কিছু বলার আগে চিন্তা করেন আপনি কী বলছেন। চিন্তার কোনো কারণ নেই্, আমার চুল আগের মতোই থাকল। আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।’
সেলিব্রিটি খেলোয়াড়দের মধ্যে সাদা চুলে এর আগে ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসিকে দেখা যায় গত কোপা আমেরিকায় ফুটবল আসরে। বাংলাদেশিদের মধ্যে তাসকিনকে প্রথমে দেখা গেল এ স্টাইলে। অবশ্য তিনি এখন ভক্তদের চাপে তার চুলের ধরন বদলে ফেলেছেন। ভক্তরা এখন খুশি নেতিবাচক মন্তব্য থেকে সরে এসে অনেকেই এখন ইতিবাচক মতামত দিচ্ছেন। সাদা চুলের এই তাসকিনকে দেখে ভক্তদের এই অবাক হওয়া এবং মাঠের বাইরের এই আলোচনা কতক্ষণ চলবে?
কার্যত তাসকিনের এই ভিন্নরূপে দুঃখ পান তাঁর ক্রিকেটভক্তরা। একদিনেই ওই ছবিতে এক লাখ ২৫ হাজারের বেশি রি-অ্যাকশনের পাশাপাশি বেশ কয়েক হাজার কমেন্ট ও ছয় হাজারের বেশি শেয়ার করা হয়। এতে বেশির ভাগই তাসকিনকে চুলের রং পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছেন। বিভিন্ন পেজে তাসকিনের চুলের নতুন রং নিয়ে ব্যঙ্গ করেন অনেকেই। সবশেষ নিজের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসেছেন তাসকিন।
চুলের রং পরিবর্তনের পরও ভক্তদের তির্যক মন্তব্যের মাঝে অনেকেই তাসকিনের প্রতি সহমর্মিতাও জানিয়েছেন। অনেক ভক্তের কটু কথার উত্তর দিয়েছেন ভক্তদের মধ্য থেকে কয়েকজন। তাসকিন যেমন দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তাসকিনের কাছেও অনেক ভক্ত তির্যক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ভক্তদের ভালোবাসা জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ তাসকিনকে ফিরিয়ে এনেছে স্বরূপে। একদিনের জন্য বুড়িয়ে যাওয়া তাসকিন এখন স্বরূপে। ভক্তরা কি এখন খুশি? যেখানে তাসকিন নিজেই জানিয়েছেন, ভক্তরা খুশি হলে তিনি নিজেই খুশি। যেহেতু তাসকিন ফিরে এসেছেন সুতরাং এখন ভক্তদের উচিত হবে তাসকিনের সঙ্গে হাসিমাখা ব্যবহার করা। সেলিব্রিটিদেরও খেয়াল রাখা প্রয়োজন, ভক্তদের মনে দাগ কাটে এমন কোনো কাজ তাঁরা না করেন। বিষয়টা যদিও ব্যক্তিগত বিষয়ের মধ্যে পড়ে। তারপরও অতিরিক্ত ভালোবাসাই কিনা মাঝেমধ্যে অনেককে ‘ক্রেজি’ করে তোলে।
লেখক : শিক্ষার্থী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।