স্পেনে ‘ঢাকা ফ্রুতাস’-এর অনুষ্ঠান
স্পেনের ‘ঢাকা ফ্রুতাস’-এর (ফলমূলের দোকান) স্বত্বাধিকারী আল আমিন ও শাহ আলম প্রবাসীদের কাছে সাফল্যের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। মাত্র ৬/৭ বছরের ব্যবধানে এই তরুণ জুটি কঠোর পরিশ্রম ও চ্যালেঞ্জিং আত্মবিশ্বাসই শতভাগ সফলতা এনে দিতে পারে হাতের নাগালের মধ্যে- এটা প্রমাণ করেছে। গড়ে তুলেছে একে একে মাদ্রিদ শহরে ৩৩টি ফলমূলের দোকান।
গত ১৬ জুন ঢাকা ফ্রুতাসের প্রায় এক শতাধিক কর্মরত সদস্যকে নিয়ে হয়ে গেল ভিন্নধর্মী একটি অনুষ্ঠান। মতবিনিময়, আলোচনা, নিজেদের মধ্যে পরামর্শ আদান-প্রদানের সাথে সাথে পুরস্কৃত করা হয় সেরা কর্মীদের।
এই বাজারে একসময় একচ্ছত্র আধিপাত্য ছিল চীনাদের। তাদের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে অনেকে এই ব্যবসা গুটিয়েও নিয়েছেন বাধ্য হয়ে। কিন্তু দমে যাননি আল আমিন ও শাহ আলম। শ্রম, একাগ্রতা, সততা ও জীবন বদলের কঠিন শপথ ঢাকা ফ্রুতাসসহ বাংলাদেশিরাও নতুন একটি ব্যবসার স্থায়িত্ব খুঁজে পায়। শুধু কর্মসংস্থান নয়, স্পেনের মন্দার বাজারে এ ব্যবসা বাংলাদেশিদের নতুন পথ দেখায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল আমিন। সদস্যদের মাঝে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন শাহ আলম, খোরশেদ আলম মজুমদার, মুরশেদ আলম, আইনজীবী এলেনা মারতিন, ঢাকা ফ্রুতাসের কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী, হারুন মিয়া, খলিলুর রহমান প্রমুখ।
সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে এ সভা। বাংলাদেশি ছাড়াও এতে মরক্কো, পাকিস্তানি, আলজেরিয়ানসহ স্প্যানিশ সদস্যরাও অংশ নেন।
প্রবাস জীবনে কীভাবে প্রতিটি মূল্যবান সময়কে কাজে লাগিয়ে কোম্পানির সফলতা, মান বৃদ্ধির সাথে সাথে কীভাবে নিজেদের উন্নতি করা যায়, সে নিয়ে আলোচনা করা হয়। নিজেদের উন্নয়নে সবাই একটি পরিবারের মতো আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠান শেষে র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে বিজয়ীদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়।