মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি, ১৮ হাজার বাংলাদেশির হজ অনিশ্চিত
সৌদি আরব সরকার মোয়াল্লেমদের ফি বাড়িয়েছে। ওই অর্থে মোয়াল্লেম দিয়ে হজযাত্রী আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মক্কার ৯১টি হজ এজেন্সি। এ কারণে ১৮ হাজার বাংলাদেশির হজ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।
৯১টি হজ এজেন্সির মালিক ও প্রতিনিধিরা গতকাল বুধবার রাতে মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হজ এজেন্সির মালিকরা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজের আওতায় গত বছর ডি গ্রেডের মোয়াল্লেম ফি ৫২০ রিয়াল করে ধার্য ছিল। যার ফলে ওই নির্ধারিত ফিতে হাজিদের সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়ে গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে কম টাকা নেন হজ এজেন্সির মালিকরা। কিন্তু সৌদি আরব সরকার দুই মাস আগে বিভিন্ন গ্রেডের মোয়াল্লেমদের ফি বৃদ্ধি করে। প্রথম এ গ্রেডে ৩৯৫০ রিয়াল, বি গ্রেডে ১৯০০ রিয়াল, সি গ্রেডে ১৫০০ রিয়াল ও ডি গ্রেডে ৭২০ রিয়াল নির্ধারণ করে। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় ও হজ কাউন্সিল এই ব্যাপারে আগে কোনো তথ্য দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশি হজ এজেন্সিগুলো সচরাচর ডি গ্রেডের মোয়াল্লেমদের মাধ্যমে হাজি নিয়ে আসে। ওই গ্রেডের মোয়াল্লেম ফি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া এখন ওই গ্রেডের মোয়াল্লেমও নেই। সি গ্রেডে ১৫০০ রিয়ালের মাধ্যমে মোয়াল্লেম ফি দিয়ে হাজি নিয়ে আসা সম্ভব নয়।
হজ এজেন্সির মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ হজ মিশন ও হজ কাউন্সিল অফিস এই বিষয়ে তাদের আগে থেকে জানায়নি। তাঁরা এখন হজযাত্রীদের হজ করা নিয়ে চিন্তিত। জনপ্রতি দেড় হাজার রিয়াল মোয়াল্লেম ফি দিয়ে হাজিদের সেবা দেওয়া প্রায়ই অসম্ভব। আগামী কয়েকদিনের মধ্য এই সমস্যার সমাধান না হলে ১৮ হাজার বাংলাদেশির হজ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই নিয়ে তাঁরা হজ ট্রেডিংয়ের চেয়ারম্যান ড. রাশেদ বদর ও সচিব ওমর আকবরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। চেয়ারম্যান বারবার বলে আসছেন, সৌদি আরব সরকারের আইনের বাইরে গিয়ে তাঁদের কিছুই করার নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে এই দূর অবস্থা থেকে তাঁরা মুক্তি পেতে পারেন বলে আশা করছেন হজ এজেন্সির মালিক-প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ মো. রেদুয়ান খান বোরহান, আলহাজ ফিরোজ কিবরিয়া, আলহাজ মো. রেজাউল করিম উজ্জ্বল, আবদুল্লাহ মামুন, মাসুদ রানা, নাজমুল হুদা, কামাল হোসেনসহ আরো অনেক হজ ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক ও প্রতিনিধিরা।