মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের কোটি টাকা নিয়ে উধাও, প্রতারককে খুঁজছে পুলিশ
শত শত শ্রমিকের ভিসা করে দেওয়ার নামে এবং বাংলাদেশ থেকে ৮০ জন ছাত্রকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে এক প্রতারক উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই প্রতারকের নাম মোহাম্মদ ওয়াহেদুল আলম সোহাগ (২৫)। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নয়াগোলাহাট এলাকায়। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আফজাল হোসেন। পাসপোর্ট নম্বর -এএফ৭৮০১১৩৩।
ভুক্তভোগীরা ও মালয়েশিয়া পুলিশ এখন ওই যুবককে খুঁজছে। অর্থআত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে কয়েকজন প্রবাসী ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতারক সোহাগ অনেক দিন ধরে মালয়েশিয়া ছাত্র পাঠানোর নামে ব্যবসা করত। সেই সঙ্গে মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত রিহ্যারিং কর্মসূচিতে অবৈধ লোকদের পারমিট করে দেওয়া ও ইকার্ড করে দেওয়ার নামে মোহাম্মদ এনামুল হাসান,সোহেল রানা,আবদুর রাজ্জাক,মোহাম্মদ শাহীন,মোহাম্মদ মিলন হক,আজমল হোসাইন,ওমর ফারুক,মোহাম্মদ সোহেল হোসাইন,মোহাম্মদ শিমুল আলী,এরফান আলীসহ আরো ৫০ জন প্রবাসী শ্রমিকের কাছ থেকে ৫০ হাজার রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতারক সোহাগ।
সোহাগের দেওয়া ভুয়া ই-কার্ড নিয়ে অনেক প্রবাসী মালয়েশিয়া পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে জেলহাজতে আছেন। বর্তমান তারা অবৈধভাবে মানবেতর জীবন করছেন।
এদিকে, হুমায়ুন নামের এক শ্রমিক বাংলাদেশে থানায় প্রতারক সোহাগের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, হুমায়ুন ও তাঁর বন্ধুকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার নামে ভুয়া ভিসা ও ভুয়া টিকিট বাবদ প্রায় সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সোহাগ। টাকা চাইতে গেলে সোহাগ তাঁর গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে নানা ধরনের হুমকি দেয় হুমায়ুনকে। সোহাগের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় নারী পাচার ও আদম পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ৮০ জন ছাত্রকে নিয়ে গিয়ে মালয়েশিয়ার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির নামে দুই লাখ সাড়ে ৩০ হাজার রিঙ্গিত হাতিয়ে নেয় সোহাগ। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার। প্রতারক সোহাগের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার চেরাস থানাতে প্রতিষ্ঠানটি মামলা করেছে।