মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে দূতাবাসের বৈঠক
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের (ইমিগ্রেশন) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিভাগ। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে বাংলাদেশ দূতাবাসের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম। মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ফরেন ওয়ার্কার্স অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান দাতু খাইরিল, ডিরেক্টর ডিটেনশন সালেহা ও ডিরেক্টর ইনফোর্সমেন্ট সারভানান।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইং প্রধান ধনঞ্জয় কুমার দাস, শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, শ্রম শাখার দ্বিতীয় সচিব মো. ফরিদ আহমদ ও দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) তাহমিনা ইয়াছমিন।
এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় বিদেশি অবৈধ শ্রমিক বৈধকরণে সে দেশের সরকার নিযুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাইইজি, বিএম ও ইমান কোম্পানির প্রতিনিধিরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশি শ্রমিক বৈধকরণ প্রক্রিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ ও বাংলাদেশ দূতাবাস। মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এই প্রথম বাংলাদেশ দূতাবাসে এসে জরুরি বৈঠক করেছেন।’
এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসকে নানা বিষয়ে জানানোসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্মকর্তারা।
সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে যারা এখনো নিবন্ধিত হয়নি, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের নিবন্ধিত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে।’
সায়েদুল ইসলাম আরো জানান, রেজিস্ট্রেশনের জন্য এরই মধ্যে মাইইজি কোম্পানি কর্মীদের সুবিধার্থে দূতাবাসের পাশে একটি বুথ স্থাপন করেছে। যেকোনো তথ্য তাদের বুথ থেকে জানা যাবে। এ ছাড়া মাইইজি চলতি মাসের প্রথম থেকে হট লাইন চালু করেছে। ০৩৭৬৬৪৮৫৫৫ হটলাইনে কর্মীরা তাঁদের কাজের অগ্রগতির জানতে পারবেন। এর পাশাপাশি এ তিনটি ভেন্ডরের কার্যক্রম প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। যদি কেউ মিডলম্যান (দালাল) দ্বারা প্রতারিত হন, সে বিষয়টিও দূতাবাসে জানাতে হবে।
রি-হিয়ারিংয়ের আওতায় যাঁরা সকল প্রক্রিয়া শেষ করেও পাসপোর্ট হাতে পাননি, তাঁদের দ্রুত শ্রম শাখায় জানাতে বলেছেন শ্রম কাউন্সিলর।