কুয়েত অভিবাসীদের পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার দাবি
কুয়েতপ্রবাসীদের জরুরি পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। গত ১৮ ডিসেম্বর, সোমবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস এক আলোচনা সভায় প্রবাসীরা এই দাবি জানান। অনুষ্ঠানের স্লোগান ছিল ‘নিরাপদ অভিবাসন যেখানে টেকসই উন্নয়ন সেখানে।’
কুয়েত প্রবাসীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা পাসপোর্টের মেয়াদ এক বছরের একদিন কম হলে স্থানীয় আইনে রেসিডেন্সি লাগানো অকার্যকর বলে গণ্য হয়। সেই দিকটি খেয়াল করে ১০ বছর করা না গেলে বাংলাদেশ সরকার জরুরি আদেশের মাধ্যমে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ বৃদ্ধির একটি সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। এতে কুয়েতপ্রবাসীরা আর্থিক ও মানসিকভাবে লাভবান হবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম।
কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
মুক্ত আলোচনায় তাঁরা তাঁদের সন্তানদের বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোটা নির্ধারণ করে দ্রুততম সময়ে তার কার্যক্রম চালুসহ প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এর সমাধানের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা সম্প্রতি বিমানবন্দরে প্রবাসীদের নিয়ে এক পুলিশ সদস্যের খারাপ মন্তব্য করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। কোটি রেমিটেন্স-যোদ্ধাকে কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক হয়রানির শিকার হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তাঁরা।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ সগিরুল ইসলাম, কাউন্সিলর (শ্রম) আব্দুল লতিফ খান, প্রথম সচিব জহিরুল হক খান, সোনালী ব্যাংকের প্রতিনিধি সাফায়েত হোসেন পাটোয়ারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান।
উন্মুক্ত আলোচনা শেষে রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম তাঁর বক্তব্যে প্রবাসীদের নিজ অধিকার সংরক্ষণ ও সচেতন থাকার পাশাপাশি কুয়েতের আইন-কানুন মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত থাকার জন্যও তিনি প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকার কর্তৃক প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি হওয়ার কথাও অকপটে স্বীকার করে নেন।
সঠিক প্রমাণসহ অভিযোগ করলে এর সঠিক বিচার করা হবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। এ ছাড়া কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কারো বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তার শাস্তির ব্যবস্থাও তিনি করবেন বলে জানান।