মেলবোর্নে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রবাসীদের শ্রদ্ধা
ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রবাসীদের অনুষ্ঠানগুলো মূলত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আয়োজন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার মেলবোর্নের হপ্পার্স ক্রসিংয়ে অবস্থিত এনকোর ইভেন্ট সেন্টারে আয়োজন করা হয় এই আয়োজন।
ভিক্টোরিয়ান বাংলাদেশি কমিউনিটি ফাউন্ডেশন (ভিবিসিএফ) ছিল এর উদ্যোগী। আর সহযোগিতায় উইন্ডহ্যাম সিটি কাউন্সিলের সহযোগিতায় বেলা ১১টায় প্রভাতফেরি ও অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথমেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভিবিসিএফের প্রেসিডেন্ট নুসরাত ইসলাম বর্ষাসহ অন্য নেতারা। তারপর একে একে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন স্থানীয় এমপি জুয়ান রাইহান, সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র মি. ওয়াল্টার, মোর্শেদ কামালের নেতৃত্বে ওয়েস্টার্ন রিজিওন বাংলা স্কুলের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। এবারের পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বিপুল প্রবাসী অংশগ্রহণ করে।
এ ছাড়া মেলবোর্নে বসবাসরত অন্যান্য কমিউনিটি যেমন অস্ট্রেলিয়ান, গ্রিক, আফ্রিকান, মালয়, ফিজি, ভারতীয় বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, নেপালিসহ সব কমিউনিটির পক্ষ থেকেও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাংলাদেশের ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শুরু হয় বক্তৃতাপর্ব। এতে লোকাল এমপি, সিটি কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও বাংলাদেশি কমিউনিটির ভিবিসিএফের নেতারা বক্তব্য দেন। অস্ট্রেলিয়ার মতো বহুভাষা ও জাতিগোষ্ঠীর দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, একুশের তাৎপর্য ও মাতৃভাষা রক্ষার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করা হয়।
ভিক্টোরিয়ান বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে মেলবোর্নে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরির প্রয়োজনীয়তা ও প্রচেষ্টার জন্য এমপি ও ডেপুটি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
দৃতীয় পর্বে শুরু হয় বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ ও জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন গ্রুপের প্রায় পাঁচঘণ্টাব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা উপস্থিত সব দর্শক উপভোগ করে।
শিশু কিশোরদের জন্য আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। পুরো অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সবার নজর ছিল ভিক্টোরিয়ান বাংলা মোবাইল লাইব্রেরির বইমেলার স্টলের দিকে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে পাবলিকেশন সেক্রেটারি মোশারফ হোসাইন রেহান বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এই আয়োজন মেলবোর্নের মাল্টিকালচারাল কমিউনিটিতে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে সাহায্য করবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এই আয়োজন মেলবোর্নবাসী বাংলাদেশিদের স্বপ্ন, শহীদ মিনার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে একধাপ এগিয়ে নেবে।