সিডনির ওয়ালী পার্ক এক টুকরো বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরের একটা দেশ অস্ট্রেলিয়া। এই দূরদেশের রাজধানী সিডনির ওয়ালী পার্কে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চলছিল দেশীয় খাবার, দেশীয় গান, আর স্বাধীনতার ইতিহাসের পসরা। ছিল হাজারো নবীন-প্রবীণের ভিড়। একটি সন্ধ্যার জন্য ওয়ালি পার্ক যেন এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়েছিল।
সিডনিতে এমনই আনুষ্ঠানিকতায় অনুষ্ঠিত হলো স্বাধীনতা দিবস মেলা। জিয়া ফোরাম অস্ট্রেলিয়া এই মেলার আয়োজন করে। মেলার শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী ও ফেডারেল এমপি টনি বার্ক।
সিডনির বিভিন্ন শহর থেকে এই প্রজন্মের শিশু-কিশোররা পরিবারের সঙ্গে এসেছিল নিজ দেশের ইতিহাস জানতে, সংস্কৃতিকে জানতে। প্রবীণরাও পিছিয়ে ছিলেন না। তাই হাজারো মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে মেলার আয়োজকদের।
মেলা আয়োজকদের পক্ষে ড. হুময়া রানা এনটিভিকে বলেন, ‘দর্শকদের এমন উচ্ছ্বাস দেখে আমি আনন্দে আত্মহারা, কারণ অনেক কষ্ট করে এই মেলা দাঁড় করেছি। আজকের এই স্বাধীনতা মেলা আগামী প্রজন্মের কাছে আমাদের দেশের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে।’
মেলার দর্শনার্থী ফারজানা মাহবুব এসেছিলেন নিউক্যাসেল থেকে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেমেয়ে নিয়ে এসেছি। আমার শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ি সিডনিতে থাকেন। মেলায় এসে দেখি উনারা বিকেল থেকে এখানেই আছেন। বলতে পারেন এটা নবীন-প্রবীণ সমন্বয়ে এক আনন্দ উৎসব।’
আয়োজকদের পক্ষ থেকে কোনো পাকিংয়ের নির্দেশনা না থাকায় একটু কষ্ট হয়েছে বলেও জানান এই দর্শনার্থী।
মেলায় দর্শনার্থীদের দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলেন অন্যতম সমন্বয়ক আরিফুল হক, সোহেল ইকবাল, লেলিন আহমেদ ও আশরাফুল রনি।
আয়োজকদের পক্ষে আরিফুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকি, অনেক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় এই জিয়া ফোরাম একমাত্র সংগঠন আমরা স্বাধীনতা দিবস মেলা আয়োজন করে প্রথমেই সফল হয়েছি। আপনাদের সবার সহযোগিতা পেলে আগামী দিনে আরো বড় পরিসরে আয়োজন করব।’
মেলায় স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা ছাড়াও ছিল বাংলাদেশিদের ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ হিসেবে পরিচিত বেবি নাজনীনের একক কনসার্ট। বেবি নাজনীন মঞ্চে ওঠার পরই শুরু হয় তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শুরু করে গেয়ে শোনান আধুনিক গান। গানগুলো মাঝরাত পর্যন্ত ধরে রেখেছিল দর্শকদের। শেষে মেলা কমিটির সব সদস্য মঞ্চে এসে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করে।