মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৮ উদযাপিত হয়েছে।

গত শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত মালয়েশিয়ান ট্যুরিজম সেন্টারে (ম্যাটিক) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এরপর বঙ্গবন্ধুর  প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম। এ ছাড়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুহা. শহীদুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন এয়ার কমোডর মো. হুমায়ূন কবির এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) রইছ হাসান সারোয়ার।

দিবসটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে হাইকমিশনার শহিদুল ইসলাম প্রথমেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষকে সুখী-সমৃদ্ধ জীবন উপহার দিতে।

শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেট কাটেন। ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মাসুদ হোসাইন, ফার্স্ট সেক্রেটারি (শ্রম) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মশিউর রহমান তালুকদার, কমার্শিয়াল উইং রাজিবুল আহসান, ফার্স্ট সেক্রেটারি তাহমিনা ইয়াছমিন, দ্বিতীয় সচিব সচিব শ্রম মো. ফরিদ আহমদসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।