জমকালো বৈশাখী উৎসবে মাতলেন মালয়েশিয়ার প্রবাসীরা
বৈশাখের গান আর দেশীয় নৃত্যের তালে তালে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করলেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। গত রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দেশটির দ্বীপ প্রদেশ সারাওয়াকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বৈশাখী এই উৎসবটির আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া সারাওয়াকের (ইউনিমাস) বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সারাওয়াক (বাসাস)। ইউনিমাসের দেওয়ান কুল্লিয়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানস্থল রঙিন বর্ণমালা, ঢাকঢোল, তবলা, একতারা, ঘুড়ি, মাছ, বেলুন, নানা ধরনের আলপনাসহ বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাজানো হয়।
বাংলাদেশকে সারাওয়াকবাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে দেখানো হয় 'বিউটিফুল বাংলাদেশ' প্রামাণ্যচিত্রটি।
বাংলাদেশি তরুণরা পাঞ্জাবি-পাজামা এবং তরুণীরা শাড়ি পরে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এই অনুষ্ঠানে বিদেশি তরুণদের পাঞ্জাবি-পাজামা এবং তরুণীদের শাড়ি পরে অংশ নিতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিয়ে ইউনিমাস শিক্ষার্থীদের বানানো একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। এরপর একে একে বাংলাদেশি সংস্কৃতির গান, নৃত্যের ছন্দে ছন্দে পুরো হলরুমটি পরিণত হয় এক টুকরো বাংলাদেশে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গানের মূর্ছনা ও নৃত্য দেখে হলরুমভর্তি দর্শক অবাক হয়ে দেখেন। বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশি সংস্কৃতির এমন পরিবেশনা ছিল নতুন কিছু।
বৈশাখী এই আয়োজনটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাসাসের সভাপতি মোহাম্মাদ সিফাত উল্লাহ তুহিন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইউনিমাসের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফাদিল আবদুল রহমান।
এ সময় মোহাম্মদ ফাদিল আবদুল রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশি সংস্কৃতি দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি এখন থেকে ইউনিমাসে প্রতিবছর চলবে।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিমাসের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ড. আবাং ইকসান আবাং উসমান, প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম, ড. মোহাম্মাদ বদরুল মুনির, কুচিং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা প্রকৌশলী গোলাম গাউস, সারাওয়াক বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা আলিউর রহমান আলো, বাসাসের সাধারণ সম্পাদক রিমন ইকবাল, নুরুজ্জামান রাভীন, ফজলুল হাসান সানি, নাজমুস সাকিব।
এ ছাড়া সারাওয়াকের বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার নাগরিক ও বিদেশিরা এই সংস্কৃতির অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।