অস্ট্রেলিয়ায় যাত্রা শুরু করল চ্যানেল নাইনটিন
অস্ট্রেলিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল চ্যানেল নাইনটিন। আজ বুধবার এই নিউজ পোর্টালটি তাদের যাত্রা শুরু করে।
প্রবাসীদের আকৃষ্ট করতে একযোগে নিউইয়র্ক, লন্ডন, সিডনি, জেনেভা ও দুবাই থেকে এই নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন করা হয়।
এই নিউজ পোর্টালের প্রধান সম্পাদক ড. নার্গিস বানুর আমন্ত্রণে সিডনির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডি টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিক নাঈম আবদুল্লাহ, এনটিভি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিক রাশেদ শ্রাবন, একুশে টিভির সাবেক সাংবাদিক ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি বার্তা নিউজ পোর্টালের প্রধান স্বপ্না গুলশান, স্বাধীন কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক মিজানুর রহমান সুমন, আরটিভি অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিনিধি আবিদা আসওয়াদ ও দেশ কণ্ঠ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক লাভলী আলম।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে নিউজ পোর্টাল চ্যানেল নাইনটিনের কার্যক্রম তুলে ধরেন সম্পাদক নার্গিস বানু। তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্কে রেজিস্ট্রেশন করা হলেও মূলত পাঁচটি শহর থেকে এই নিউজ পোর্টালটি পরিচালিত হবে। পরে কুয়ালালামপুরকেও সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন শহরে থাকা সাবেক সাংবাদিকদের অনেকেই আমাদের এই প্রকাশনায় সহযোগী হবেন। এ ছাড়া আমাদের সম্পাদকীয় কার্যালয়টি থাকছে লন্ডনে।’
চ্যানেল নাইনটিনের সম্পাদক ড. নার্গিস বানু অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী একজন পরিবেশবিজ্ঞানী। অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর থেকে বিভিন্ন সরকারি ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক উন্নয়নে তিনি বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখছেন। ২০০৪ সাল থেকে ৯৯.৯ এফএমে ‘ভয়েস অব বাংলাদেশ’ নামে জনপ্রিয় একটি রেডিওতে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন নার্গিস বানু। এ ছাড়া সামাজিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে তিনি ব্ল্যাকটাউন কাউন্সিল থেকে বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক নারী পুরস্কার পান। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল এমপি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংসদের কমিউনিটিতে নার্গিস বানুর অবদানের কথা উল্লেখ করে তাঁকে ধন্যবাদ দেন। সে বছর ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় নার্গিস বানুকে ‘ওমেন অব দ্য ওয়েস্ট’ পদকের জন্য মনোনীত করে। ২০১৪ সালে তিনি মনোনয়ন পান মেরি মেক্লওয়েড অ্যাওয়ার্ডের জন্য। ২০১৫ সালে নার্গিস বানু আরটিভি অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘আলোকিত নারী’ পদকে ভূষিত হন এবং গত বছর মুসলিম নারী সংগঠন তাঁকে ‘মোজাইক মুসলিম ওমেন ইন অস্ট্রেলিয়া’ হিসেবে ভূষিত করে।