মালয়েশিয়ায় জহুরবারু শাখা বিএনপির আত্মপ্রকাশ
মহান বিজয় দিবস উদযাপনের বর্ণাঢ্য আয়োজনের পাশাপাশি একই দিনে আত্মপ্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার জহুরবারু শাখা বিএনপি। আত্মপ্রকাশের সভায় এম জে আলমকে সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ জয়নাল আবদিন, এম এ মান্নানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. জিল্লাল হোসাইনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান বাদল, জেষ্ঠ্য সহসভাপতি মাহবুব আলম শাহ এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
এ উপলক্ষে রোববার বিকেলে স্থানীয় নিউইয়র্ক হোটেলের বলরুমে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও মোনাজাত করেন জহুরবারু বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল হান্নান। পরে জাতীয় সঙ্গীত ও বিএনপির দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জহুর প্রদেশ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাদলুর রহমান খান বাদল বলেন, দেশে শান্তি ও গণতন্ত্রকে আবার ফিরিয়ে আনতে হলে ধানের শীষে ভোট দিন। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল হটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। আজকে যারা শহীদ জিয়াকে নিয়ে উদ্ভট কথাবার্তা বলে, স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদানকে অস্বীকার করে, তারাই মূলত স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মালয়েশিয়া বিএনপির জ্যেষ্ঠ্য সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মাহবুব আলম শাহ বলেন, যেদিন দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে এবং স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে যেদিন দেশবাসী মুক্তি পাবে সেদিনই হবে বিজয়ের প্রকৃত উৎসব।
সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন দেশ আজও পূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি। এ জন্য আরেকটি যুদ্ধ প্রয়োজন। সে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে স্বাধীনতার পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। জিয়াউর রহমানের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
সভায় সমাপনী বক্তব্যে জহুরবারু প্রদেশ বিএনপির নতুন কমিটির সভাপতি এম জে আলম বলেন, ৪৪তম এই বিজয় দিবস বাংলাদেশের সব মানুষের বিজয়। অথচ আজ দেশের ক্রান্তিকাল চলছে। দেশে গণতন্ত্র রক্ষার লক্ষ্যে যে দিন হাসিনাকে বিতাড়িত করতে পারবে একমাত্র সেদিনই বাংলাদেশের বিজয় লাভ হবে। গণতন্ত্রের ধারক বাহক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে বাংলাদেশের আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হব। বিএনপি শান্তির রাজনীতি পছন্দ করে। দেশে শান্তি বজায় রাখতে হলে খালেদা জিয়াকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা সালাউদ্দিন, সিঙ্গাপুর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিলিপ রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভায় টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
একই অনুষ্ঠানে মূল কমিটি ছাড়াও জহুরবারু প্রদেশের ১৩টি শাখা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার অব মালয়েশিয়া এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।