মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে প্রি-স্কুলের যাত্রা
প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার ও তাঁদের সন্তানদের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার যৌথ বিনিয়োগে যাত্রা শুরু হলো লিটল টুইংকেলস প্রি-স্কুলের। রাজধানী কুয়ালালামপুরের গ্যানতিং ক্লাং সড়কের ডানা কোটায় বুধবার এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব এস কে শাহীন।
স্কুল পরিদর্শন ও উদ্বোধন শেষে এসজেকেসির হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এস কে শাহীন বলেন, ‘নতুন ধারায় আনন্দের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষাদান প্রশংসনীয়।’ মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘শিশুরা যেন কোনোমতেই পড়াশোনাকে বোঝা মনে না করে, সেদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে মনযোগী হতে হবে।’
মালয়েশিয়ান তরুণী ময়ূরী আলহেন্দ্রানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লিটল টুইংকেলস স্কুলের প্রধান নির্বাহী পরিচালক সিসিলিয়া শারমিনি। তিনি বলেন, ‘অপেক্ষাকৃত কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের এ উদ্যোগ। আমরা বিশ্বাস করি, শিকড় মজবুত হলে গাছ বড় হতে কোনো সমস্যা হবে না।’
স্কুলের অন্যতম পরিচালক বাংলাদেশি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বসবাস করে বাংলাদেশি পরিবার একেবারে কম নয়। অনেকে আবার স্বল্প খরচে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর জন্য মালয়েশিয়াকে প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এ ছাড়া এখানে বিদেশিদের স্কুলের পড়াশোনার খরচও বেশি। মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার ও তাদের ছেলেমেয়েদের কথা মাথায় রেখে আমরা এই প্রি-স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি।’
দুই ধাপে বিভক্ত স্কুলটিতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পড়ানো হবে এবং বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘরোয়া পরিবেশে তাদের যত্নসহকারে রাখা হবে। এর মাধ্যমে দুদেশের সাংস্কৃতিক একটা বন্ধনও তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন হাফিজুর রহমান। তিনি আরো জানান, ইংলিশ মিডিয়াম এ স্কুলে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষা দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে একজন বাংলাদেশি শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় এসে দুই থেকে ছয় বছরের শিশুর পড়াশোনা করাতে ইচ্ছুক অভিভাবকদের ভিসার ব্যাপারেও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন ইউনিভার্স ব্রিলিয়ান্ট রিসোর্সেসের পরিচালক হাফিজুর রহমান। ভবিষ্যতে বাংলাদেশিদের জন্য পূর্ণাঙ্গ স্কুল প্রতিষ্ঠার চিন্তা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশি বধূ মালয়েশিয়ান তরুণী শাহিদা শাশা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা বাংলাদেশি ছেলেদের বিয়ে করেছি, তাঁদের জন্য এই প্রি-স্কুল শতভাগ উপযোগী। এর মাধ্যমে একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সম্পর্কে জানতে পারবে শিশুরা। এ ছাড়া কর্মজীবী মায়েরা তাদের বাচ্চাদের রাখার একটা নির্ভরযোগ্য স্থান খুঁজে পাবে।’