মালয়েশিয়ায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে মালয়েশিয়া আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিক লীগ। গতকাল রোববার কুয়ালালামপুরে পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে আওয়ামী লীগের এ তিন সহযোগী সংগঠন।
মালয়েশিয়া যুবলীগের কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন মুকুল, আব্দুল করিম, শওকত হোসেন পান্না, দাতু কালাম, মিনহাজ উদ্দিন মিরান যুবলীগের মালয়েশিয়া শাখার আহ্বায়ক তাজকীর আহমেদ, আবু হানিফ, জহিরুল ইসলাম জহির, বিজন মজুমদার, মাসুদুল আলম রনি, সুভাষ চন্দ্র, শরিফ আহমেদ রাজু, রেজাউল হক লায়ন, মাহবুব আলম কাজল, আল আমিন আকাশ, হাকিম ভূঁইয়া, আল আমিন ডলার, মো. জাহিদ ও মহানগর যুবলীগ নেতা আয়েশা আক্তার দীপা, মামা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর এমদাদুল হক সবুজসহ মালয়েশিয়া যুবলীগের সিলাঙ্গর, বুকিত বিনতাং, পুডু, শ্রিমুনিয়া, পুত্রাজায়া ও সাইবারজায়া, মিহারজা ও মালুরি শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রিয় নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার সন্ধায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের রাফি মাজু রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ মালয়েশিয়া শাখা।
সভায় মালয়েশিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বি এম বাবুল হাসান বলেন, ‘বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা হয়তো কখনই পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত হতে পারতাম না। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এ নেতা বাঙালি জাতির হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে আছেন এবং থাকবেন।’
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সরকারের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এস কে মুকুল, লিটন সরকার বাবু, সুমন হোসেন, কবি শেখ জাহাঙ্গীর, হারুনুর রশিদ, তৌসিফ চৌধুরী, শেখ সোহেল ও মালয়েশিয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সহসভাপতি রাসেল হাওলাদার।
একই দিনে বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়া শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়েছে। তামিং জায়ায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে দলটির নেতা-কর্মীরা।
আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানের সভাপতি মালয়েশিয়া শ্রমিকলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারির মাধ্যমে বাঙালি জাতি তাদের জনককে কাছে পায়। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নয় মাস যুদ্ধ করে বাঙালি জাতি যে স্বাধীনতা অর্জন করে, তার পূর্ণতা পায় এ দিনে। তাই এই দিনের তাৎপর্য অনেক বেশি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে হয়তো আজ আমাদের দেশ ছেড়ে প্রবাসে আসতে হতো না।’
মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়া শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব এস এম আবুল হোসেন, যুগ্ন-আহ্বায়ক শাহ আলম হাওলাদার, আব্দুর রাজ্জাক চয়ন, সুভাষ, ইমন মহিউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, রাজীবসহ অনেকে।
শ্রমিক লীগের সদস্য মঈন উদ্দিনের কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।