এয়ারপোর্টে আদবকেতা
মার্কিন ভ্রমণ লেখক পল থেরক্স বলেছিলেন, ‘স্মৃতির পাতায় কেবল ভ্রমণই লাস্যময়ী’! এ কথাকে অস্বীকার করার তো কোনো উপায় নেই। ভ্রমণের স্মৃতিমাত্রই ঝলমলে। যাঁরা দূর দেশে ভ্রমণে যাবেন, তাঁদের তো যাত্রা শুরু হবে বিমানবন্দর থেকে। দেখা যায়, না জানার কারণে কিংবা অনভিজ্ঞতার কারণে অনেকেই কিছু ভুল কাজ করে বসেন বিমানবন্দরে। এর ফলে হয়তো বা বিব্রতকর পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। সুতরাং এয়ারপোর্টে কী করা উচিত আর কী করা উচিত না, সে বিষয়ে একটা ধারণা থাকা উচিত আগে থেকেই। ভ্রমণবিষয়ক ব্লগ ট্রাভেল হ্যাক অবলম্বনে আপনাদের জন্য থাকছে কিছু পরামর্শ।
১. সাথে কয়টা লাগেজ বা হ্যান্ডব্যাগ নিতে পারবেন সেটা আগে থেকেই জেনে রাখুন। হ্যান্ড লাগেজের ওজন কতটুকু পর্যন্ত নেওয়া যাবে, সেটার ব্যাপারে আগেভাগে অবগত থাকাই ভালো। সামান্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র (ল্যাপটপ, সেলফোন ইত্যাদি) ছাড়া সাধারণত বিশেষ কিছুই নিতে দেওয়া হয় না হ্যান্ড লাগেজে।
২. শিশুকে শান্ত রাখুন। আপনার দুষ্টু শিশুটি যদি লাউঞ্জে চেঁচায়, তাতে বহু মানুষই বিরক্ত হতে পারে। সুতরাং তাকে শান্ত রাখার দায়িত্ব আপনার। এমন কিছু করুন যাতে তার মনোযোগ চেঁচামেচির দিকে না যায় বা সে রেগে চিৎকার শুরু না করে।
৩. অস্থির হয়ে লাইন ধরে প্লেনে ওঠার কোনো দরকার নেই। প্লেনের দরজা খোলার পর অনেকক্ষণ পর সেটা উড়াল দেয়। সুতরাং যতটা পারেন একটু নড়াচড়া করুন, কারণ ভেতরে গিয়ে আপনাকে লম্বা সময় কিন্তু চুপচাপ বসে থাকতে হবে।
৪. কেবিন ক্রুর সাথে ভদ্র ব্যবহার করুন। অযথা কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না।
৫. বিমানে উঠেই যদি টয়লেট খুঁজতে থাকেন, ব্যাপারটা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য। দেখবেন ভেতরে বিশ্রামাগারে যাওয়ার জন্য বিশাল লাইন লেগে গেছে! সুতরাং, বিশ্রামাগারের কাজ বিমানে ওঠার আগে সেরে ফেলাই ভালো!
৬. ই-পাসপোর্টটি ব্যবহার করা বিশেষ কোনো কঠিন কাজ নয়। আপনি শুধু যেটা করবেন, স্ক্যানারে দিয়ে দেবেন আপনার ই-পাসপোর্ট। বাকি কাজ এমনিতেই হয়ে যাবে। কাজেই এখানে তাড়াহুড়ো বা ভীতির কোনো কারণ নেই।
৭. আপনার যদি ধারণা হয়ে থাকে যে ব্যাগের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকলেই আপনার ব্যাগটা তাড়াতাড়ি চেক হয়ে চলে আসবে, তাহলে একদমই ভুল করছেন। দয়া করে এভাবে দাঁড়িয়ে থেকে অন্যদের ঝামেলা করবেন না। আপনার ব্যাগ আপনাআপনিই চেক হবে, সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে অযথা অন্যদের সমস্যা সৃষ্টি করবেন না।