সিঙ্গাপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত মুন্সী শহিদুজ্জামান
সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী শহিদুজ্জামান খান আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে চলে যান না ফেরার দেশে।
আজ বুধবার বিকেল ৪টায় সিঙ্গাপুরের সেরাঙ্গুনের মোস্তফা প্লাজা সংলগ্ন আঙ্গুলিয়া মসজিদে শহিদুজ্জামানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শহিদুজ্জামানের কফিন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আবৃত ছিল।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহবুবুজ্জামানসহ
বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বারের নেতা, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
৪টা ৩০ মিনিটে শহিদুজ্জামানের কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ‘চুয়া চুকাং সিমিট্রিতে’, সেখানেই তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
শহিদুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র বয়সেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সাতক্ষীরা অঞ্চলে অবস্থান নিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শহিদুজ্জামান আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মারা যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের ক্রান্তিলগ্নে গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগকে তিনি ও তাঁর পরিবার সংগঠিত করেছেন।
হাইকমিশনারের শোক
মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী শহিদুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেন সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনার মাহবুবুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা সবাই মর্মাহত। সেই সঙ্গে এই মুক্তিযোদ্ধার শোকার্ত পরিবারের জন্য রইল আমাদের সমবেদনা।’
শহিদুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বারের সহসভাপতি এবং সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান। তিনি বলেন ‘শহিদুজ্জামান ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন সংগঠক। সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন সক্রিয়।’
মুন্সী শহিদুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের বাংলা পত্রিকা ‘বাংলার কণ্ঠ’র সম্পাদক এ কে এম মহাসিন। তিনি বলেন ‘সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে মুন্সী শহিদুজ্জামানের ভূমিকার কথা সবসময় স্মরণ করতে হবে।’
আরো শোক প্রকাশ করেন সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী শিহাব উদ্দিন লিটন, বিডিচ্যামের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিরুল ইসলাম মনি ও মো. আজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জনি, সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস)।