জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না : খাদ্যমন্ত্রী
‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা হলে ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতেন না। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতিষ্ঠিত করতেন না, গোলাম আজমকে দেশে ফিরিয়ে আনতেন না।’ বুধবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ‘৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শিরোনামে’ মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ৭ মার্চকে স্বীকার করে না, শ্রদ্ধা করে না, তারা স্বাধীনতাবিরোধী। যারা বাংলাদেশের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা নিয়ে সমালোচনা করে তারা কখনো দেশের মঙ্গল চায় না।’
মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুর রহমান অহিদের সভাপতিত্বে ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন সরদারের পরিচালনায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং হোটেল সলিলের হলরুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ মকবুল হোসেন মুকুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ’৭১-এর চেতনাকে সরিয়ে জিয়াউর রহমানের দেখানো পথেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান চলছেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা সেটা আমি স্বীকার করি না। কারণ জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তবে তিনি ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছেন।’
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’ শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় যুদ্ধপরাধীদের বিচারকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ বাদল, মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না, মালয়েশিয়া আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক এ কামাল চৌধুরী, হাফিজুর রহমান ডাবলু, হুমায়ুন কবির, আলমগীর হোসেন, শাখাওয়াত হক জোসেফ, অ্যাডভোকেট মিনহাজ উদ্দিন মিরান, শাখাওয়াত হোসেন, তাজুল ইসলাম মান্না, শফিকুর রহমান চৌধুরী, জহুর বারু আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম আমিন, ক্যামেরন হাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন, শাহ আলম, শ্রীমুদা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিন সরকার, হাংতুয়া আওয়ামী লীগের ইমনসহ অনেকেই।