সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বর্ষবরণ
দেশ থেকে বহুদূরে থাকলেও নাড়ির টান কখনো ভোলার নয়। তাই তো দেশ থেকে নয় হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও নিজ সংস্কৃতিকে চিত্তে ধারণ করে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণ উৎসব আয়োজন করে সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন এসইউবিএসএ। দিনব্যাপী এ উৎসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত কোয়ার্ড অ্যাঙ্গেল চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হয়। ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানে মুখরিত হয় সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ।
পরে বিকেল ৫টায় এসইউবিএসএর বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অনুপ কুমারের উপস্থাপনায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংগঠনটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুসান ফেরদৌস, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাকসুদা সুলতানাসহ আরো অনেকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দেশাত্মবোধক গান, হাস্যরসাত্মক কৌতুক আর দেশের বিভিন্ন আর্থসামাজিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে সবাইকে কাচ্চি বিরিয়ানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণ উৎসবের শেষ ভাগে অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র। এতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এসইউবিএসএর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. এনামুল হক।
বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হাকিম, সহসাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, মাল্টিমিডিয়া অফিসার আরিফ খাঁ, মেম্বারশিপ ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা শারমিন সন্ধ্যা, সাবেক সভাপতি শেখ নাইম ফয়সাল, সাবেক সহসভাপতি সামিরা তাসনিম, ইভেন্ট অর্গানাইজার হাবিব, সুজন, জহিরসহ আরো অনেকে।
২০১২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় এসইউবিএসএ। এটি গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. এনামুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ ও বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা এবং নতুন শিক্ষার্থীদের বিদেশের নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়াই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি, পয়লা বৈশাখ, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো উদযাপন করে এসইউবিএসএস।’