কুয়েতপ্রবাসী বন্ধুমহলের বর্ষবরণ
বাংলা নববর্ষে কুয়েতপ্রবাসী গৃহিণীরা মিলে বৈশাখী উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজন করেন। গত শুক্রবার স্থানীয় ফান্তাস পার্কে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলে।
অনুষ্ঠানে দেশীয় সংগীতের পাশাপাশি ছোট ও বড়দের জন্য ছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হাঁড়িভাঙা, মারবেল দৌড়। বিশেষ আয়োজন হিসেবে ছিল যেমন খুশি তেমন সাজো। উৎসবের আয়োজনে ফান্তাস পার্ক মিনি বাংলাদেশে পরিণত হয়। চারু-কারু, পিঠা-পুলি, বুটিক পোশাক, কাচের গয়নাসহ দেশি নানা পণ্য অনুষ্ঠানস্থলকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দেয়। উৎসবে সকালের নাশতায় ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা। আর দুপুরে বৈশাখে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা-ইলিশ ও হরেক রকম ভর্তার স্বাদে মরুদেশে তিপ্তি মেটান উপস্থিত ভোজনবিলাসীরা।
এমন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসে ভিন্ন সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা আবহমান বাংলার কৃষ্টি-কালচার ও ঐতিহ্য অন্তরে লালন করতে পারবে।
বৈশাখী অনুষ্ঠানের আয়োজক নাজিম, মনির, তুর্কি, আতা, জাহাঙ্গীর, মিজান সাহাব উদ্দিন, মনির হোসেন, মামুন, মোসেদ, জাকির ও হাসনাত। এ ছাড়া অনুষ্ঠান সার্থক করে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন শাহনাজ, ঝর্ণা, কলি, মুন্নি, শিউলি, ইয়াসমিন, রূপা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন আতাউল গনি মামুন। এই অনুষ্ঠানে বিএমসি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম শামীম উজ্জামান, উপ-অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজিম খান, বিবিসি সভাপতি লুৎফর রহমান মোকাই আলী, সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আলী খানসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।