সিঙ্গাপুরে যৌতুকবিরোধী সভা ও ইফতার অনুষ্ঠিত
‘সচেতনতা গড়ে তুলবে প্রতিরোধ’ স্লোগান নিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর শাখার আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের ডেস্কার রোডের ঐতিহ্যবাহী ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে সংগঠনটির উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।
যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর শাখার সভাপতি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক মনির আহমদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত মাসিক ম্যাগাজিন ‘ডিজিটাল সময়ে’র সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর বিডিচ্যামের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জনি, বিডিচ্যামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিঙ্গাপুরের সভাপতি কাজী লিটন এবং বিএনপি সিঙ্গাপুরের সভাপতি আবদুল কাদের।
ইসমাইল হোসেনকে সভাপতি করে সিঙ্গাপুরের কুমিল্লাবাসীর সমন্বয়ে নবগঠিত কুমিল্লা শাখা এবং পলাশ মাহমুদকে সভাপতি করে যশোরবাসীকে নিয়ে যশোর কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন অতিথি কাজী শিহাব উদ্দিন লিটন, খালেদ সাইফুল্লাহ, সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম মুন্না।
অতিথি ছাড়াও সভায় যৌতুক প্রতিরোধের ওপর আলোকপাত করে বক্তৃতা করেন বাংলার কণ্ঠ কালচারাল ফোরাম সভাপতি রেজাউল করিম, পলাশ মাহমুদ, জসিম উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর শাখার সভাপতি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বক্তৃতায় সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সদস্য এবং অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া প্রবাসে বাংলাদেশিদের কমিটি গঠন করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি। মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রত্যেক প্রবাসী তাঁর পরিবারের অর্থের জোগানদাতা ও অভিভাবক। বেশির ভাগ প্রবাসী কয়েক বছর চাকরির পর বিয়ে করেন, তাই তাঁদের কথা যেমন পরিবার প্রাধান্য দেবে, তেমনি তিনিও এই আন্দোলনের সদস্য হিসেবে পরিবারে ভূমিকা রাখবেন। প্রত্যেক বিবাহযোগ্য প্রবাসীর একটাই কথা হওয়া উচিত—যৌতুক নেব না, যৌতুক দেব না।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভবিষত্যের পরিকল্পনা হিসেবে দেশে-বিদেশে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাড়া-মহল্লা, স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজে যৌতুকের কুফল জানাতে হবে। নারীদের সচেতন করতে হবে। এ জন্য প্রচারের কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অনলাইনের যুগ। প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে অনলাইন পত্রিকা ও আন্দোলনকারীদের।
ইফতার মাহফিলে সম্প্রতি ঢাকার গুলশান ট্র্যাজেডির নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা এবং বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়।