দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছন পুচ্ছনে হয়ে গেল প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ অরর্গানাইজেশন ও পুচ্ছনের বিদেশি সাহায্য সংস্থা ইয়ংজুমিয়ন সেন্টার।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ অর্গানাইজেশনের সভাপতি আহমেদ রতন। উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি সৈয়দ কায় খসরু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. জুলফিকার রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ও কাউন্সিলর রুহুল আমিন।
ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মিজানুর রহমান। সমবেত জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ অরগানাইজেশনের সভাপতি আহমেদ রতন ও পুচ্ছনের বিদেশি সাহায্য সংস্থা ইয়ংজুমিয়ন সেন্টারের সভাপতি সোন ইন হোয়ান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. জুলফিকার রহমান বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মেধা-মনন দিয়ে বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সবাইকে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট হতে হবে। ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০১৬ আয়োজন করায় তিনি বিদেশি সাহায্য সংস্থা ও বাংলাদেশ অর্গানাইজেশনের সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া, দূতাবাসের কাউন্সিলর রুহুল আমিন, পুচ্ছনের বিদেশি সাহায্য সংস্থার সভাপতি কিম সোন ইন হোয়ান।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে কে পপ গ্রুপ নাচ পরিবেশন করেন। তারপর শুরু হয় কোরিয়ান স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে নৃত্যানুষ্ঠান বেলি নাচ।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কোরিয়ায় নির্মিত বাঙা বাঙা ছবির অভিনেতা ও গানের শিল্পী খান। প্রবাসী বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী সৈয়দ কায় খসরু, বাউলশিল্পী আশুতোষ অধিকারী, গায়ক মারুফ আহমেদ ইফতি।
যন্ত্রসংগীতে সার্বিক সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া ও তাঁর ছেলে। অনুষ্ঠান শেষে ভোজসভা ও সবাইকে উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদ। সার্বিকভাবে অনুষ্ঠানটি প্রবাসীদের কাছে আনন্দময় করতে পরিশ্রম করেন আরিফুর রহমান, মোস্তফা কামাল, আবদুল মান্নান, রনি, আলী প্রমুখ।