কুয়েতে শ্রমশক্তি নিয়োগে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে : কুয়েতের আমির
কুয়েতে বিদেশি শ্রম-শক্তি আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে দেশটির আমির শেখ সাবাহ্ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ্ আশ্বাস দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রম বাজার সম্প্রসারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ আশ্বাস দেন। এ সময় কুয়েতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামকে তিনি আমিরি প্যালেস (বায়ান প্যালেসে) পরিচয়পত্র প্রদান করেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে কুয়েতের আমির বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অনেক বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। এর আগে আবুল কালাম আমিরের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশ-কুয়েত ভ্রাতৃপ্রতীম দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক ও পরিচয়ের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
কুয়েতে বাংলাদেশিদের ভূমিকা তথা ১৯৯১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশের ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে আমির আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো বিস্তৃত ও জোরদার হবে। বাংলাদেশ-কুয়েত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিবিধ দিক যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য বহুমুখীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সামরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ, সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ়করণ, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজীকরণ তথা গভীরতর ও প্রসারিত কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে দুই দেশ কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত কুয়েতের আমিরকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফরের আন্তরিক আমন্ত্রণ জানালে আমির সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ওই সময় কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহ্ আল-খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ্ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) এস এম মাহবুবুল আলম, প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গনি, কাউন্সিলর (শ্রম) আবদুল লতিফ খান সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন। সকালে রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবন থেকে মোটর শোভাযাত্রা করে বায়ান প্যালেসে যান এবং সেখানে রাষ্ট্রদূতকে আমিরি গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।