যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনৈতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত রাজনৈতিক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অবিচ্ছেদ্য ও অবিনশ্বর। বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, জিয়াউর রহমানের নাম তত দিন সমস্বরে উচ্চারিত হবে। নিজের কৃতিত্বই তাঁকে মহানায়কের আসনে আসীন করেছে। দেশে দেশে জাতীয়তাবাদের উত্থান হচ্ছে। বাংলাদেশেও বিএনপির নেতৃত্বে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
স্থানীয় সময় গত সোমবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের রিজেন্ট বেঙ্কুয়েটিং হলে আয়োজিত রাজনৈতিক কর্মশালায় যোগ দেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দর্শক সারিতে বসে তিনি প্যানেল আলোচকদের বক্তৃতা শোনেন।
যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীনের সভাপতিত্বে দুই পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইন। দ্বিতীয় পর্বে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক কে এম এ মালেক বলেন, জাতীয়তাবাদী দর্শনের কারণেই বিএনপিকে যেমন নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে, তেমনি এই আদর্শের কারণেই অচিরেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এখন পৃথিবীর দেশে দেশে জাতীয়তাবাদের জাগরণ ঘটছে। প্রায় চার দশক আগে আমাদের দেশে এ জাগরণের সূচনা করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতার মহান ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করে তিনি যেমন আমাদের ভূখণ্ড ছিনিয়ে এনেছিলেন, তেমনি নির্মাণ করেছেন আমাদের জাতীয় পরিচয় বাংলাদেশি।
শিক্ষা ও সামাজিক অগ্রগতিতে বিএনপির ভূমিকা প্রসঙ্গে অধ্যাপক হাসনাত হোসাইন বলেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিক্ষা ও সামাজিক প্রগতি এবং অর্থনৈতিক উন্নতি বিএনপি সরকারই নিশ্চিত করতে পেরেছে। সব ক্ষেত্রে শহীদ জিয়ার অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
হাসনাত হোসাইন আশা প্রকাশ করে বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শকে আরো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করবেন।
মুশফিকুল ফজল আনসারী বিএনপির ভূমিকা প্রসঙ্গে তাঁর গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেন, কয়েকটি কারণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে-বিদেশে কিংবদন্তি রাষ্ট্রনায়কের আসনে আসীন। প্রথমত, একাত্তরে যখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব আপসকামী ও ব্যর্থ, তখন তাঁদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার মহান ঘোষণা দিয়ে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটানো। দ্বিতীয়ত, ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে সংগঠিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার সংহতির মধ্য দিয়ে দেশের এক চরম সংকটকালে দায়িত্বভার গ্রহণ এবং সর্বোপরি গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, উৎপাদনমুখী রাজনীতি এবং মর্যাদাপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় নতুন এক বাংলাদেশকে বিনির্মাণ।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, হুমায়ুন কবির, প্রবাসীকল্যাণবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার আবদুস সালাম, সহস্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক শামসুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য আবদুল মুকিত, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, প্রধান উপদেষ্টা শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল হামিদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেসুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য আক্তার হোসেন ও কয়েস মিয়া, বিএনপি নেতা নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, গোলাম রাব্বানি, শহীদুল ইসলাম মামুন, কামাল উদ্দিন, শামসুর রহমান মাহতাব, তাজউদ্দীন, খসরুজ্জামান খসরু, নাসিম আহমেদ চৌধুরী।