রম্য
ইব্রাহিম পাশার মৃত্যুর কারণ
‘সুলতান সুলেমান’-এর উজিরে আজম ইব্রাহিম পাশাকে সুলতানা হুররমের কূটচালে বাদশার নির্দেশে শ্বাসরোধে হত্যা করা হবে আজ। আপাতদৃষ্টিতে এটাকে কারণ মনে হলেও হাস্যরস টিম খুঁজে পেয়েছে আরো কিছু দুর্দান্ত কারণ।
১. সিসি ক্যামেরা না থাকা
অটোমান রাজা এত প্রতাপশালী আর এত স্বর্ণমুদ্রার তাঁর রাজকোষে। অথচ কিছু মুদ্রা খরচ করে প্রাসাদের আনাচে-কানাচে কয়েকটা সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারলেন না?
প্রাসাদের সিসি ক্যামেরা থাকলে বাদশা নিশ্চয়ই মনিটরে বসে দেখতেন হুররমের কূটনামি।
ঢাকার নষ্ট সিসি ক্যামেরাগুলো নিয়ে প্রাসাদে লাগালেই এতবড় ভুল সিদ্ধান্ত নিতে হতো না সুলতানের।
২. ফেসবুক
প্রাসাদে ফেসবুক থাকলে বাদশা হুররমের প্রতিটি স্ট্যাটাস দেখতে পেতেন। হুররমের ষড়যন্ত্র গোপন থাকত না পাশার কাছে। কে কে হুররমের ফ্রেন্ড লিস্টে আছে, কাদের সঙ্গে চেকইন দিচ্ছে—সেসব দেখতে পেতেন। পাশাপাশি পাশার অ্যাবাউট ও বায়োতে লেখা থাকত সে বাদশাকে কতটা ভালোবাসে। এ ছাড়া স্ক্রিনশটের মাধ্যমে প্রমাণ করা যেত হুররমের কুবুদ্ধি ও চালগুলো। ফলে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ অনেকটাই কমে যেত। বলা যায়, পাশার মৃত্যু ও অটোমান সম্রাজ্যের পতনের অন্যতম কারণ ফেসবুক না থাকা।
৩. বিখ্যাত হওয়ার প্রবণতা
মৃত্যু ছাড়া কেউ বিখ্যাত হতে পারে না। কেবল মারা যাওয়ার পরেই ব্যক্তির ভালো দিকগুলো মানুষের সামনে আসে। পাশা দ্রুত বিখ্যাত হতে চেয়েছিলেন। ফলে মৃত্যু ছাড়া তাঁর আর কোনো পথ খোলা ছিল না।
৪. জন্মেছিলেন বলেই মরতে হলো
জ্ঞানীরা বলে গেছেন, ‘মানুষ জন্মায় মরার জন্য।’ জীবন দিয়ে সেই প্রমাণ দিলেন ইব্রাহিম পাশা। এ ছাড়া তাঁর জন্মটাই মৃত্যুর প্রধান কারণ। একবার ভাবুন তো, ইব্রাহিম পাশার জন্মই হলো না? তাহলে সে মরবে কী করে? সুতরাং বলা যায়, পাশার অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণ তাঁর জন্ম নেওয়া।