লভ্যাংশ দেবে না ইনটেক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘বি’ ক্যাটাগরির ইনটেকের ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে গত তিন অর্থবছর ধরে লভ্যাংশ দিতে পারেনি তারা। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭৪ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল এক টাকা ১৫ পয়সা। লোকসান থাকায় গত তিন অর্থবছর ধরে লভ্যাংশ ঘোষণা দিতে পারছে না কোম্পানিটি।
সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) নেগেটিভ ২৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের এনওসিএফপিএস ছিল নেগেটিভ ৩৬ পয়সা। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ২১ পয়সা। আগের অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ৫৩ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে শুরু হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ ডিসেম্বর।
লভ্যাংশ না দেওয়ার প্রসঙ্গে ইনটেকের সচিব মো. মোজাহিদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অনিয়ম ও নানা সমস্যায় পড়ে কোম্পানিটি লোকসানে ডুবেছিল। এতে কোম্পানিটি বিগত কয়েক অর্থবছর লভ্যাংশ প্রদান করতে পারেনি। সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে দায়িত্ব নিয়েছে কোম্পানির নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি। দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে কমিটি সমস্যাগুলোর সমাধান করছে। ইতোমধ্যে প্রায় সব সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এখন কোম্পানির ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আশা করছি, এই অর্থবছরের আমরা এটার ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পারব।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইনটেক। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১২০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা তিন কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ২২৬টি। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৫ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির উদ্যোক্ত পলিচালক ২৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিদেশি শূন্য চার শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬০ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।