১৬ শতাংশ কমে ইনটেক পতনের শীর্ষে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনটেকের গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১৬ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লুজারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইনটেকের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৫০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৪ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৬ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১১ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩৫ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৩ পয়সা।
লোকাসন কারনে গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সমাপ্ত (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারেনি। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৭৪ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল এক টাকা ১৫ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল নেগেটিভ ২৯ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ২১ পয়সা।
২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইনটেক। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১২০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা তিন কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ২২৬টি। রিজার্ভে নেগেটিভ ৩১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ২৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ, বিদেশি দশমিক শূন্য ছয় এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।