শেষ ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকার জয়
বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে এসেছে ৪২ ওভারে। অথচ ইনিংস শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৩৬১/৫, ওভারপ্রতি ৮.৫৯ রান! স্বাগতিক দলকে এমন রান-পাহাড় উপহার দেওয়ার কৃতিত্ব দুই সেঞ্চুরিয়ান হাশিম আমলা ও রিলি রুসোর। বুধবার রাতে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে আরেকটি রানের নিচে চাপা পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৩১ রানের বিশাল জয় পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ জিতে নিয়েছে ৪-১এ।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকানদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ছয় রানে ফিরে যান চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা কুইন্টন ডি কক। তিন নম্বরে নামা ফাফ দু প্লেসিও ব্যর্থ। তবে ৫৯ রানে দু প্লেসি ফিরে যাওয়ার পরই অসাধারণ এক জুটির জন্ম। তৃতীয় উইকেটে ১৭২ বলে ২৪৭ রানের জুটিটা গড়েছেন আমলা ও রুসো।
এবি ডি ভিলিয়ার্সের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা আমলা ব্যক্তিগত ১৯তম সেঞ্চুরিকে নিয়ে গেছেন ১৩৩ রান পর্যন্ত। ১০৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ১১টি চার ও ছয়টি ছক্কায়।
আমলার চেয়ে এক রান কম করলেও রুসোর ইনিংসটি ছিল আরো আক্রমণাত্মক। দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ৯৮ বলের ঝড়ো ইনিংস সাজানো নয়টি চার ও আটটি বিশাল ছক্কায়। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও তিনি।
আমলা-রুসোর তাণ্ডবে একটা কীর্তিও গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪২ বা তার চেয়ে কম ওভারের ওয়ানডেতে ৩৬১ রানই এখন সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
বিশাল রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ক্রিস গেইলকে হারিয়ে দিগভ্রান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মারলন স্যামুয়েলস (৫০), নরসিং ডিওনারাইন (৪৩) ও দীনেশ রামদিন (৪০) চেষ্টা করলেও ২৩০ রানেই অলআউট হয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা।
৪২ রানে চার উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের সেরা বোলার ওয়েইন পার্নেল। চার ম্যাচে দুটি শতকসহ ২০৬.৫ গড়ে ৪১৩ রান করা আমলার হাতে উঠেছে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৪২ ওভারে ৩৬১/৫ (ডি কক ৪, আমলা ১৩৩, দু প্লেসি ১৬, রুসো ১৩২, মিলার ২৩, ডুমিনি ১৮; রাসেল ৩/৮৫, হোল্ডার ২/৭৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৩৭.৪ ওভারে ২৩০ ( গেইল ০, ডিওনারাইন ৪৩, স্মিথ ৩১, স্যামুয়েলস ৫০, রামদিন ৪০, রাসেল ২৪, কার্টার ০, স্যামি ২৭, হোল্ডার ০, ব্র্যাথওয়েইট ১, কট্রেল ২; পার্নেল ৪/৪২, অ্যাবট ২/৫৯, ডি ল্যাঞ্জ ১/৩৪, বেহারদিন ১/৪০, ফাঙ্গিসো ১/৫৩)
ম্যাচ সেরা : রিলি রুসো
সিরিজ সেরা : হাশিম আমলা।