অস্ট্রেলিয়ার যে চেহারা দেখা গেল ৭৯ বছর পর
দুই প্রান্ত থেকে দুই পেসার করছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের সূচনা। এমন দৃশ্য দেখেই অভ্যস্ত ক্রিকেটবিশ্ব। কিন্তু বাংলাদেশের স্পিন-স্বর্গে খেলতে এসে সব কৌশলই নতুন করে সাজাতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। বোলিং আক্রমণের সূচনা করতে হচ্ছে স্পিনার দিয়ে। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম ওভারটা পেসার প্যাট কামিন্স করলেও দ্বিতীয় ওভারেই আরেক প্রান্তে দেখা গেল নাথান লায়নকে। অস্ট্রেলিয়ার এমন চেহারা সত্যিই বিরল, যা সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ৭৯ বছর আগে, ১৯৩৮ সালে।
ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হেরে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর জন্য সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়টা খুব করেই দরকার সফরকারীদের। সে লক্ষ্যে শুরু থেকেই হাত ঘোরানো শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা স্পিনার নাথান লায়ন। দ্বিতীয় ওভার থেকেই বোলিং শুরু করেছেন এই ডানহাতি অফস্পিনার।
এর আগে স্পিনার দিয়ে বোলিং আক্রমণের সূচনা অস্ট্রেলিয়া করেছিল ১৯৩৮ সালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লেগস্পিনার বিল ও'রাইলি বল করতে এসেছিলেন দ্বিতীয় ওভারে। এর পর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার এমন চিত্র আর কখনোই দেখা যায়নি।
বোলিং লাইনআপের ক্ষেত্রেও অস্ট্রেলিয়া জন্ম দিয়েছে আরেকটি বিরল চিত্রের। ১০ বছরের বেশি সময় পর তারা দল সাজিয়েছে তিনজন স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়ে। নাথান লায়ন ও অ্যাশটন অ্যাগারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্টিভ ও'কিফ। কাকতালীয়ভাবে অস্ট্রেলিয়ার এমন দৃশ্যও দেখা গিয়েছিল চট্টগ্রামের এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে চিটাগং টেস্টে অস্ট্রেলিয়া মাঠে নেমেছিল তিন স্পিনার নিয়ে। সেবার একসঙ্গে খেলেছিলেন দুই লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন, স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল ও অফস্পিনার ড্যান কুলেন।