‘বাংলাদেশের ৪০০-৪৫০ করা উচিত ছিল’
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৬০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১। তারপরও বাংলাদেশ পেয়েছিল ২০ রানের ইতিহাসগড়া জয়। চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোরটা ৩০০ রানের কোটা পেরোনোর পর তাই অনেকেই হয়তো ফেলেছিলেন স্বস্তির নিশ্বাস।
কিন্তু তারপর দ্বিতীয় দিনের বাকি সময়টা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেললেন তাতে এখন মনেই হচ্ছে যে, স্কোরটা আশানুরূপ বড় হয়নি বাংলাদেশের। দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নাসির হোসেন তো স্বীকার করেই ফেলছেন যে, প্রথম ইনিংসে ১০০-১৫০ রান কম হয়েছে বাংলাদেশের।
ঢাকায় সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। নাথান লায়নের ঘূর্ণিজাদুতে শুরুতে বিপাকে পড়লেও টাইগাররা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সাব্বির রহমান ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের দারুণ ব্যাটিংয়ে। ষষ্ঠ উইকেটে তাঁদের গড়া ১০৫ রানের জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের আশাই জেগেছিল বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে। প্রথম দিনের একেবারে শেষভাগে ৬৬ রান করে দুর্ভাগ্যবশত স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েছিলেন সাব্বির।
সেই ধাক্কাটাও অবশ্য সামলে নিয়েছিলেন মুশফিক ও নাসির। প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিলেন অপরাজিত থেকে। তখনো টিকে ছিল বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের আশা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই মুশফিক হয়েছেন নাথান লায়নের শিকার। ফিরে গেছেন ৬৮ রান করে। দিনের ২১তম ওভারে নাসিরও সাজঘরের পথ ধরেছেন ৪৫ রান করে। নিজে বড় ইনিংস খেলতে না পারায় আক্ষেপের পাশাপাশি দলীয় সংগ্রহটা বড় না হওয়ার আফসোসও তাই পীড়া দিচ্ছে নাসিরকে। দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের স্কোরটা বড় হয়নি। আমরা ১০০-১৫০ রান কম করেছি। এই উইকেটে অন্তত ৪০০-৪৫০ রান করা উচিত ছিল।’
বাংলাদেশের ইনিংসটা কোনোমতে পেরিয়েছে ৩০০ রানের কোটা। দ্বিতীয় দিনের খেলায় বাংলাদেশের ইনিংসের শেষপর্যায়ে মেহেদী হাসান মিরাজের ১১ ও তাইজুল ইসলামের ৯ রানের ছোট দুটি ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩০৫ রান।