মুস্তাফিজকে হোয়াটসঅ্যাপে ওয়ার্নারের শুভেচ্ছা!
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলতে গিয়েই বাজিমাত করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপাজয়ের পেছনে। তখন থেকেই তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে। মুস্তাফিজের বিভিন্ন সাফল্যে, জন্মদিনে শুভেচ্ছাও জানান ওয়ার্নার। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। এবার ‘ফিজ’ তাঁর আইপিএলের দল হায়দরাবাদের অধিনায়ক ওয়ার্নারের কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাটা পেয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে।
আইপিএলে দুজন সতীর্থ হিসেবে মাঠে নামলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁরা একে অপরের প্রবল প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার চলমান টেস্ট সিরিজে দুজনে আছেন দুই শিবিরে। চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হচ্ছে মুস্তাফিজ-ওয়ার্নারের মধ্যে। মুস্তাফিজ যেমন দারুণ বোলিং করে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের, তেমনি ওয়ার্নারও বাংলাদেশের বোলারদের নাজেহাল করে দিয়েছেন শতরানের ইনিংস খেলে। শেষপর্যন্ত ওয়ার্নারের ১২৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটির অবসান ঘটিয়েছেন মুস্তাফিজ।
দিনশেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে তাই অবধারিতভাবেই ওয়ার্নার ও নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ফিজকে। ওয়ার্নারের কাছ থেকে কোনো শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মৃদুভাষী মুস্তাফিজ বলেছেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের আইপিএলের দলের একটা গ্রুপ আছে। সেখানেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ওয়ার্নার।’
কে জানে, শতরানের ইনিংসটির অবসান প্রিয় সতীর্থ মুস্তাফিজের হাতে হওয়াতে হয়তো আক্ষেপও একটু কম হয়েছে ওয়ার্নারের! এ সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ওয়ার্নারের উইকেটটিও তো মুস্তাফিজ বিবেচনা করতে পারেন জন্মদিনের উপহার হিসেবে।
চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়ার্নারের ১২৩ রানের ইনিংসটিতে ভর করে তৃতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৩৭৭ রান। ৯ উইকেট হারিয়ে সফরকারীরা পেয়েছে ৭২ রানের লিড। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন মুস্তাফিজ। স্পিন সহায়ক উইকেটেও দারুণ বোলিং করে তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। সমানসংখ্যক উইকেট গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের ঝুলিতে।