সহকারী কোচের দায়িত্ব পাচ্ছেন সালাউদ্দিন?
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর অর্ন্তবর্তী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ফিল সিমন্সকে। তার ডেপুটি হিসেবে কে কাজ করবে সেই কোচের সন্ধানে এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। তাদের পছন্দের তালিকায় আছে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম। দেশসেরা এই কোচকে সহকারী কোচ হিসেবে দেখার সম্ভাবনাও রয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) মিরপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘কাজ করা কেন হয়নি এই কারণগুলো আমি আগেও একবার বলেছি। আমার সঙ্গে কথা হচ্ছে । দেখি কী হয়। একেবারে যে ইচ্ছে নেই, তা নয়। ইচ্ছে আছে। কিন্তু সবকিছুই তো...একটা জিনিস আপনাদের বুঝতে হবে আমি বোর্ডের কর্মী নই।’
সালাউদ্দিন আরও যোগ করেন, ‘আমি শেষ ১০ বা ১৫ বছর ধরে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নই। দীর্ঘ ১৫ বছর আমার পেট চালাতে হয়েছে বাইরের অর্গানাইজেশনের সঙ্গে। কোনো কিছু আমার হুট করে ফেলা আসাও সম্ভব না। আমি যদি বোর্ডের কোচ হতাম, যখন বলতো তখনই আমি ঢুকে যেতে পারতাম। কিন্তু এখানে তো আমার অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়। কারণ তারা আমাকে এত বছর খাইয়েছে, পরিয়েছে। তাদেরকে তো আমি হুট করে ফেলে আসতে পারবো না।’
বছর দুয়েক আগেও সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তাব পান সালাউদ্দিন। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকায় মৌখিকভাবে পাওয়া প্রাথমিক সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি তিনি। সে সময় তাকে কোচিং স্টাফে নিতে আগ্রহ দেখান বিসিবি পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও। যদিও এর আগে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে সালাউদ্দিনের। জেমি সিডন্স প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগের বছর ২০০৬ সালে জাতীয় দলের সহকারী কোচ হন সালাউদ্দিন, কাজ করেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত।