নবদম্পতির অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে সমালোচনার ঝড়
গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের কেরালা রাজ্যের কোল্লামের একটি মন্দিরে বিয়ে করেন ঋষি কার্তিক ও লেক্সমী। বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে রোমাঞ্চকর ও ভিন্নভাবে ক্যামেরার সামনে হাজির হন এই নবদম্পতি। এসময় ঋষি ও লেক্সমী হাস্যোজ্জ্বল ফটোশুটে অংশগ্রহন করেন। এ জন্য তাঁরা বেছে নেন চা-বাগান।
সেই ফটোশুটে দেখা যায়, তাঁরা অন্তরঙ্গভাবে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেছেন, ধাওয়া করছেন এবং পরম ভালোবাসায় সাদা চাদর শরীরে জড়িয়েছেন। কিন্তু বিবাহোত্তর এই ফটোশুটের পর তাঁরা ছবিগুলো যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন তখনই বাধে বিপত্তি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, নেটিজেনরা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এই ছবিগুলোকে অশ্লীল দাবি করে সমালোচনা করেছেন তীব্রভাবে। সেগুলো নিয়ে অনেক ট্রলও করা হয়েছে। এমনকি ছবিগুলো সরিয়ে নিতেও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন সমালোচনাকারীরা।
নববধূ লেক্সমী জানান, এ বছরের এপ্রিলে ধুমধামে বিয়ের কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিয়ের তারিখ পিছিয়ে যায়। ভারত সরকার সব ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেন। তাই সেপ্টেম্বরে তাঁরা স্বল্প পরিসরে বিয়ের পর্ব শেষ করেন। করোনার কারণে বিলম্বিত এ বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতেই বিয়ে পরবর্তী ফটোশুট করেন তাঁরা। কিন্তু ফেসবুকে ছবিগুলো শেয়ার করার পরই সমালোচনা শুরু হয়।
লেক্সমী আরো জানান, ছবিগুলো শেয়ার করার পরই নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয় তাঁদের। কেউ কেউ এগুলোকে ‘অশ্লীল পর্নোগ্রাফি’ বলেছেন। কেউ সরাসরি আক্রমণ করে বলেছেন, ‘পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করতে।
লেক্সমী বলেন, ‘এ অভিজ্ঞতা সত্যিই ভীতিকর। বেশিরভাগ মন্তব্যে আমাকেই টার্গেট করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক নারীও এটা নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করেছে। তারা আগের ‘মেকআপ’ ছাড়া ছবি সংগ্রহ করে এই ফটোগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে উপহাস করেছে।’
তবে ওই দম্পতি জানান, সমালোচনার মধ্যেও অনেকে তাঁদের সমর্থন দিয়েছেন। অনেকে বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। অনেকে ছবিগুলো সম্পর্কে বলেছেন, ‘অ্যামাজিং, বিউটিফুল’। সমালোচনাকারীদের এড়িয়ে চলতে নবদম্পতিকে পরামর্শও দিয়েছেন অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী।