মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর ফেসবুকে সেফটি চেক চালু
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে বেশ কয়েকবার ভূকম্পন হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মাওলাইক এলাকা। ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯।
ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পরপরই যেসব এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, সেসব এলাকায় নিরাপদে থাকা মানুষের জন্য সেফটি চেক অপশন চালু করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে এই ভূকম্পন অনুভূত হওয়ায় বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরাও সেফটি চেকের মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদ থাকার কথা অন্যদের জানাতে পারছেন।
যেসব ব্যবহারকারী এখনো সেফটি চেক অপশনটি ব্যবহার করেননি তারা এই লিংকে ক্লিক করে সেফটি চেক দিতে পারবেন।
যেকোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সন্ত্রাসী হামলার পর দুর্গত বা আক্রান্ত স্থানে নিরাপদে থাকা মানুষের অবস্থান জানাতে ফেসবুকে দেওয়া হয় সেফটি চেক।
এর মাধ্যমে নিরাপদে থাকা ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাঁদের বন্ধুদের জানাতে পারেন যে তিনি নিরাপদে রয়েছেন। কারণ, অনেক সময় এসব হামলার পর ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়।
তাই ফেসবুকের মাধ্যমে দেশে ও দেশের বাইরে থাকা সবাইকে নিরাপদে থাকার খবরটি দ্রুত জানানো যায়। এর আগে চিলিতে ভূমিকম্পের পর সেফটি চেক চালু করেছিল ফেসবুক।
শুরুতে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষের জন্য সেফটি চেক চালু করেছিল ফেসবুক। সে সময় শুধু ভূমিকম্প বা বন্যা এ ধরনের দুর্যোগের সময় সেফটি চেক দেওয়া যেত। তবে পরবর্তী সময়ে বোমা হামলা ও সন্ত্রাসী হামলায় নিরাপদে থাকা মানুষের জন্যও সেফটি চেক অপশনটি চালু করা হয়।