আফগানিস্তানের কুয়া থেকে শিশু হায়দারকে মৃত উদ্ধার
আফগানিস্তানের কুয়ায় পড়ে যাওয়া শিশু হায়দারকে চারদিন পর মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে দেশটির দক্ষিণ জাবুলের কুয়া থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। খবর বিবিসির।
স্থানীয় এক সাংবাদিক বিবিসিকে বলেন, ‘কুয়া থেকে শিশুটিকে তোলার পর তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ সময় সে শ্বাস নিচ্ছিল না।’
উদ্ধারকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে কুয়ার মধ্যে কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি। তাকে হেলিকপ্টারে করে জরুরি চিকিৎসার জন্য কাবুলের একটি হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
জাবুল পুলিশের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ জাওহার এএফপিকে বলেন, ‘উদ্ধারের প্রথম অবস্থায় শিশুটি শ্বাস নিচ্ছিল এবং মেডিকেল টিম তাকে অক্সিজেন দিয়েছিল। ‘মেডিকেল টিম হেলিকপ্টারে নেওয়ার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়।’
তালেবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র উপদেষ্টা আনাস হাক্কানি এর কিছুক্ষণ পরই টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এটা খুবই দুঃখের বিষয়ে যে, শিশু হায়দার আমাদের থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছে।’
দুই সপ্তাহ আগে মরক্কোতে একই ধরনের একটি ঘটনা বিশ্ববাসীকে নাড়া দেয়। রায়ান নামের এক শিশু কুয়ায় পড়ে যায়। পাঁচ দিন চেষ্টার পর উদ্ধারকারীরা শিশু রায়ানকে কুয়া থেকে তুলে আনতে সক্ষম হন। কিন্তু, ততক্ষণ সে মারা যায়। এরপর হায়দারের ঘটনাটি বিশ্ববাসীকে নাড়িয়ে দিয়ে গেল।
গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কুয়ার ভেতর শিশু হায়দার আটকা পড়েছে। শিশুটিকে দুই বাহু এবং শরীরের ওপরের অংশ নাড়াতে দেখা যায়।
ভিডিওতে শিশুটির বাবাকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি ঠিক আছ? আমার সঙ্গে কথা বলো... কান্না করো না। তোমাকে বের করে আনার জন্য আমরা কাজ করছি।’ ভেতর থেকে শিশুটি করুণ কণ্ঠে—‘আমি কথা বলব’, বলতে শোনা যায়।
উদ্ধারকারীরা কুয়ার ভেতরে রশি ফেলে ক্যামেরা দিয়ে এ ভিডিও ধারণ করেন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, শিশু হায়দার ৩৩ ফুট গভীর কুয়ায় পড়ে যায়।