ইন্দোনেশিয়ার উড়োজাহাজটি সম্ভবত বিধ্বস্ত হয়েছে, কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে বোয়িংয়ের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর সংযোগ হারিয়ে ফেলে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে আজ শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম রিপাবলিকার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ফ্লাইটে ১২ ক্রুসহ ৬২ আরোহী ছিলেন। এর আগে জানানো হয়েছিল, এতে ছয় শিশুসহ ৫৯ আরোহী ছিলেন। যার মধ্যে ছয়জন ক্রু।
বিমানটি জাকার্তার সুকর্ণ-হাট্টা বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে গিয়েছিল। এটি পশ্চিম কালিমানতান প্রদেশের রাজধানী পন্টিয়ানাকের দিকে যাচ্ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিন্দোনিউজের বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলে আরো জানিয়েছে, এর আগে দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হওয়া বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স সিরিজের উড়োজাহাজ ছিল না এটি। নিখোঁজ উড়োজাহাজটি ২৭ বছরের পুরোনো বোয়িং ৭৩৭-৫০০ সিরিজের।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণমন্ত্রী বুদি কারিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে উড়োজাহাজে ৬২ আরোহী থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উড়োজাহাজটির অনুসন্ধান ও উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
দেশটির একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান বাগোস পুরুহিতো বলেন, উত্তর জাকার্তার জলসীমা ধরে দলের সদস্যরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো রেডিও বিকন সিগন্যাল তারা পাননি।
আগোস হারিয়ানো নামে অন্য একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সমুদ্রে ধ্বংসাবশেষের মতো কিছু জিনিস পাওয়া গেছে। তবে তার মানে এই নয় যে, এগুলো নিখোঁজ হওয়া বিমানের।
স্থানীয় বিমান সংস্থা শ্রীবিজয়া এয়ার উড়োজাহাজটির মালিক। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা নিখোঁজ উড়োজাহাজের ব্যাপারে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে।
এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের একটি উড়োজাহাজ সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ যাত্রী নিহত হয়।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সংযোগ হারায়।