পাইলটের ভুলেই কাঠমান্ডুতে সেই বিমান দুর্ঘটনা
নেপালের ইতিহাসে তিন যুগের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল এ বছরের ১৬ জানুয়ারিতে। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারায় যাওয়ার পথে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হলে ৭২ জন আরোহী মারা যায়।
এ ঘটনায় কয়েক মাসের তদন্ত শেষে আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দেশটির একজন কর্মকর্তা জানান, পাইলটের ভুলের কারণেই ঘটেছিল ওই দুর্ঘটনা। খবর এএফপির।
এটিআর-৭২ মডেলের বিমানটি কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে গন্তব্যস্থলে যাবার পথে ৬৮ জন যাত্রী ও চারজন ক্রুসহ পাহাড়ের খাদে পড়ে বিধ্বস্ত ও টুকরো টুকরো হয়ে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু ও ১৫ জন বিদেশিও ছিলেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিশনের গঠিত টিমের একজন সদস্য বুদ্ধি সাগর লামিচান বলেন, ককপিট থেকে ভুল বোতামে চাপ দেওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
লামিচান বলেন, ‘কারিগরি দিক দিয়ে বলা যায়, বিমানটির অবস্থা বেশ ভালোই ছিল। তবে মানুষের ভুলের কারণে এর ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় ও বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।’
গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদনটি নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়, যাতে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অসাবধানতাবশত লিভার টানার কথা বলা হয়েছে।
সে সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিমানটির দুটি প্রপেলার আচমকা থেমে যায় এবং পোখারা বিমানবন্দরের কাছে সেটি বিধ্বস্ত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে ভুল করে প্রপেলারের বোতামে চাপ দেওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, যা মানুষের ভুল।
দ্রুত পাল্টে যাওয়া আবহাওয়া আর তুষারাবৃত পর্বতমালার কারণে নেপালের দুর্গম রানওয়েগুলাতে বিমান ওঠা-নামা করানো খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৯২ সালে। ওই সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে নামার সময় বিধ্বস্ত হলে ১৬৭ জন আরোহী নিহত হন।