চীনা হুমকির মধ্যেই দুর্যোগকালীন প্রস্তুতির ‘সবচেয়ে বড়’ মহড়া চালাল তাইওয়ান
ইউক্রেনে রাশিয়া যেভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে, চীনের পক্ষ থেকেও একই ধরনের আগ্রাসনের আশঙ্কা থেকে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় দুর্যোগকালীন প্রস্তুতির মহড়া চালিয়েছে তাইওয়ান। আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে দ্য প্রিন্ট।
সংবাদমাধ্যম তাইওয়ান নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিউ তাইপেই সিটি গত বৃহস্পতিবার সর্ববৃহৎ দুর্যোগকালীন প্রস্তুতির মহড়া চালাতে প্রায় দুই হাজার জনকে একত্রিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে—মহড়ায় ২০০টি যানবাহন, চারটি হেলিকপ্টার এবং ২০টি ড্রোন অংশগ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছিল। সেখানে প্রথম বারের মতো যুদ্ধকালীন সময়ে কীভাবে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
শহরের ফায়ার সার্ভিস বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—মহড়ার অংশ হিসেবে সকালের দিকে দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি বিষয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা করা হয়। পরে বিকেলের দিকে যুদ্ধ ও শান্তিকালীন সময়ে কীভাবে দুর্যোগ, ত্রাণ, সম্পদ সংগ্রহ এবং উদ্বাস্তুদের সহায়তা করতে হবে সেবিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে তাওয়ান আশঙ্কা করছে চীন হয়তো মস্কোর কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের ওপর আগ্রাসন চালাবে।
স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ দাবি করা চীন দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে ‘প্রয়োজনে বল প্রয়োগের’ হুমকিও দিয়ে রেখেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনা যুদ্ধবিমানের নিয়মিত উপস্থিতিও দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধে কমিউনিস্টদের কাছে পরাজিত হওয়ার পর ১৯৪৯ সালে চীন প্রজাতন্ত্রের সরকার তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। কমিউনিস্টরা ক্ষমতা নিয়ে দেশের নাম বদলে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী চীন’ রাখে। আর, সে সময় থেকেই তাইওয়ান প্রণালি ঘিরে সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।