টরন্টো বিমানবন্দর থেকে দেড় কোটি ডলারের সোনা চুরি
কানাডার টরন্টো পেয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেড় কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সোনা চুরি হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল সোনা চুরি হলেও বিষয়টি আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) জানিয়েছে কানাডীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। খবর বিবিসির।
মধ্য কানাডার অন্টারিও প্রদেশের রাজধানী টরন্টো। এই প্রদেশটি সোনার জন্য বিখ্যাত। কারণ এই প্রদেশেই রয়েছে দেশটির বেশিরভাগ সোনার খনি। আর টরন্টোর পেয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি সোনা পরিবহণের ট্রানজিট হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
কানাডীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ১৭ এপ্রিল সোমবার পেয়ারসন বিমানবন্দর থেকে দুই কোটি কানাডীয় ডলার মূল্যের সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস চুরি হয়েছে। জিনিসগুলো নিয়ে ওই দিন দুপুরে একটি কার্গো বিমান বিমানবন্দরটিতে পৌঁছায়। পরে বিমানটি থেকে কন্টেইনার নামিয়ে বিমানবন্দরের কার্গো হোল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কার্গো হোল্ডিং থেকেই মূল্যবান জিনিসগুলো হারিয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
বিবিসি বলছে, পেয়ারসন বিমানবন্দরে চুরির ঘটনাটি কানাডার ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ চুরি। এর আগে ২০১১-২০১২ সালে তিন হাজার টন ম্যাপল সিরাপ চুরি হয়েছিল, যার বাজারমূল্য ছিল এক কোটি ৮৭ লাখ ডলার।
পিল অঞ্চলের পুলিশ ইন্সপেক্টর স্টিফেন দুভেস্তিয়েন বলেন, ‘আমার টিম ঘটনাটির তদন্ত করছে। খুব দ্রুতই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’ তবে, চুরির ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন ও বিরল বলে জানিয়েছেন দুভেস্তিয়েন।
পেয়ারসন বিমানবন্দরে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দুভেস্তিয়েন বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়া কন্টেইনারটি পাঁচ বর্গফুটের ছিল। সোনা বাদেও এটিতে মূল্যবান সামগ্রী ছিল।’
কোন এয়ারলাইন্সে করে কন্টেইনারটি এসেছে, এটি কোথা থেকে এসেছে ও এটির গন্তব্যস্থল কোথায় ছিল- তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। দুভেস্তিয়েন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, এই চুরির সমস্যার সমাধান করা। সে জন্য আমরা সঠিক বিবরণ দিতে পারছি না।’