নারী সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট গড়তে পারল না আইসল্যান্ড
ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে আইসল্যান্ডের পার্লামেন্টে পুরুষের চেয়ে বেশি নারী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছিল বিশ্বের অনেক সংবাদমাধ্যম। আইসল্যান্ড ভেবেই নিয়েছিল যে, এটি ইউরোপের প্রথম নারী সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ গঠন করে ইতিহাস তৈরি করেছে। কিন্তু ভোট পুনর্গণনা দেখা গেছে, আগের চেয়ে কম আসন জিতেছেন নারীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানায়, আইসল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মোট ৬৩ আসনের মধ্যে নারীরা জিতেছেন ৩০টি আসন। কিন্তু আগের ফলাফলে দেখা গেছে, নারীরা ৩৩টি আসন জিতেছিলেন।
এর আগে গতকাল রোববার দেশটির জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, দেশটির পার্লামেন্টের ৬৩টি আসনের মধ্যে ৩৩টি আসনে নারী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৪ জন নারী এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কিন্তু মাত্র একদিনের ব্যবধানে পাল্টে গেল সব হিসাব। ৩৩টি আসনে জিতে বরাবরের মতো পুরুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদই গঠন করছে আইসল্যান্ড।
অন্যান্য দেশের মতো আইসল্যান্ডের পার্লামেন্টে আইনগতভাবে নারী প্রতিনিধি নির্বাচনের কোনো কোটা ব্যবস্থা নেই। নারীদের জন্য সংরক্ষিত নেই কোনো আসন। তারপরও নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে নির্দিষ্টসংখ্যক আসনে নারী প্রার্থী দেওয়ার নিয়ম রয়েছে দেশটির বেশিরভাগ দলে।
লিঙ্গসমতার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সুনাম কুড়িয়ে আসছে ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ড। লিঙ্গসমতা নিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রতি বছর একটি সূচক প্রকাশ করে।
ডব্লিউইএফ থেকে গত মার্চে যে সূচকটি প্রকাশ করেছিল সেখানে দেখা যাচ্ছে, টানা ১২ বছরের মতো এবারও এই সূচকে শীর্ষ স্থানটি দখল ধরে রেখেছে আইসল্যান্ড।
আইসল্যান্ডে নারী কর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মতো পুরুষ কর্মীরাও পিতৃত্বকালীন ছুটি পান। বহু বছর ধরে লিঙ্গসমতার এমন আরও ভুরি ভুরি উদাহরণ তৈরি করেছে দেশটি।
১৯৬১ সালে প্রথম দেশ হিসেবে নারী ও পুরুষকে সমান মজুরি দিতে আইন পাস হয় সেখানে। আইসল্যান্ড প্রথম দেশ যারা ১৯৮০ সালে বিশ্বের প্রথম নারী প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত করেছিল।