পূর্ব চীন সাগরের পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টায় ‘ব্যাপক উদ্বিগ্ন’ জাপান ও কানাডা
পূর্ব চীন সাগরের পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা নিয়ে গত রোববার গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে চীনের তৎপরতা বৃদ্ধির পর এ উদ্বেগ জানিয়েছেন তারা। বার্তা সংস্থা এএনআই’র বরাত দিয়ে রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলনে চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন জাপান ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যম কিয়োডোর খবরে বলা হয়, সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জে জাপানের জলসীমায় বেইজিংয়ের বার বার অনুপ্রবেশের ব্যাপারে নজর ছিল এই দুই নেতার। চীন এই দ্বীপগুলো নিজেদের দাবি করে জাপানের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জকে চীন ‘দিয়ায়ু’ নাম দিয়েছে।
পারস্পরিক আলোচনায় সুগা ও ট্রুডো একটি উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব নিশ্চিত করেছেন। সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ জাপান নিয়ন্ত্রণ করলেও চীন ও তাইওয়ান এটি নিজেদের বলে দাবি করছে। সহজাতভাবে এবং আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী টোকিও এই দ্বীপটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে চীন একটি আইন বাতিল করেছে। এর ফলে এখন চীনের কোস্টগার্ড অন্য দেশের ভৌগলিক সীমা অতিক্রম ও শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে। এই ঘটনায় ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ কয়েকটি দেশ বেইজিংয়ের ব্যাপক সমালোচনা করেছে। চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করছে এবং
ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের সমুদ্রসীমাকেও নিজেদের দাবি করছে।
দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতিতে উত্তেজনার মধ্যে কয়েক মাস ধরে চীন সাগরে তার তৎপরতা বাড়িয়েছে। এই অঞ্চলে প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় চীনের ক্রমবর্ধমান ব্যাপক তৎপরতার ফলে ইন্দোপ্যাসিফিক জুড়ে অসংখ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।