মহামারি রোধে ‘কার্বিস বে ঘোষণা’ দেবেন জি৭ নেতারা
মহামারি কোভিড-১৯-এর ফলে বিশ্বব্যাপী যে পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেল, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনে সব সম্পদের ব্যবহারের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন পৃথিবীর সাত ধনী দেশের জোট জি৭-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর নেতারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালের কার্বিস বে-তে তিন দিনব্যাপী জি৭ সম্মেলন শুরু হয়েছে শুক্রবার। আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনে বৈশ্বিক করোনা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘোষণা দেবেন নেতারা। জোটভুক্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জাপানের নেতারা শুক্রবার আলোচনায় বসেন।
জি৭ নেতারা ঘোষণায় ভবিষ্যতে কোনো নতুন রোগের ক্ষেত্রে টিকা অনুমোদন, চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ১০০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ, বৈশ্বিক নজরদারি নেটওয়ার্ক ও জেনোম সিকোয়েন্সিং সক্ষমতা বাড়ানো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) শক্তিশালীকরণ ও সংস্কারের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
আজ শনিবারের ঘোষণার আগের আলোচনায় যুক্ত হবেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ডব্লিউএইচওর প্রধান ড. টেড্রোস গ্যাব্রিয়াসুস আধানম।
সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি।
এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ দুই নেতাও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এই সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা।
গতকাল শুক্রবার সম্মেলনের উদ্বোধনের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘গত বছর বিশ্বে বেশ কয়েকটি কোভিড-১৯ টিকা তৈরি হয়েছে। অনুমোদনের পর উৎপাদন শুরু হয়ে এখন আমরা এগুলো ব্যবহার করছি। কিন্তু, সত্যিকারভাবে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের একেবারে শুরু থেকেই এসব নিয়ে কাজ করা দরকার ছিল। অর্থাৎ গত ১৮ মাসের শিক্ষা অনুযায়ী পরেরবার কোনো মহামারি এলে যেন আমরা ভিন্নভাবে কাজ করতে পারি।’
বিশ্বব্যাপী করোনায় এ পর্যন্ত ৩৮ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৭ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ। বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এসব তথ্য দিয়েছে।