মিয়ানমারে মার্কিন সাংবাদিকের ১১ বছরের কারাদণ্ড
ড্যানি ফেনস্টার নামের এক মার্কিন সাংবাদিককে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক আদালত। ড্যানি ‘ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার’ নামের একটি স্থানীয় অনলাইন ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অভিবাসন আইন লঙ্ঘন, বেআইনি কর্মকাণ্ড এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উৎসাহিত করায় সাংবাদিক ফেনস্টারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফেনস্টারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বাধিক শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ফেনস্টারের বিরুদ্ধে আনা নতুন অভিযোগগুলোর বিচার শুরু হবে ১৬ নভেম্বর।
সাঁইত্রিশ বছর বয়সি ফেনস্টার গত মে মাসে ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন। গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে আটক হওয়া কয়েক ডজন স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ফেনস্টার একজন।
ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের তথ্য অনুযায়ী, সাংবাদিক ফেনস্টার এর আগে ‘মিয়ানমার নাউ’ নামের একটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে ‘মিয়ানমার নাউ’ সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করে আসছে।
ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘তিনি (ফেনস্টার) নিষিদ্ধ ঘোষিত গণমাধ্যম মিয়ানমার নাউ-এ কাজ করছিলেন—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে। ড্যানি ২০২০ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমার নাউ থেকে পদত্যাগ করেন। এবং পরের মাসে ফ্রন্টিয়ারে যোগ দেন। তাই, ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেপ্তারের সময় তিনি নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ফ্রন্টিয়ারে কাজ করছিলেন।’
ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের প্রধান সম্পাদক টমাস কিন বলেন, ‘যেসব অভিযোগে ড্যানিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।’