মিয়ানমারে জাপানি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মিয়ানমারে গ্রেপ্তার হওয়া জাপানের সাংবাদিক ইউকি কিটাজুমির বিরুদ্ধে ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে মিয়ানমার সরকার। দেশটিতে অবস্থিত জাপানি দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সেনা অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম কোনো বিদেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলো। গত ১৮ এপ্রিল ৪৫ বছর বয়সী সাংবাদিক কিটাজুমিকে ইয়াঙ্গুন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে অল্প সময়ের জন্য আটক করা হয়।
কিটাজুমি ফ্রি-ল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন। জাপানের প্রভাবশালী ও বহুল প্রচারিত গণমাধ্যমে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। জাপানি গণমাধ্যম নিক্কিতে তিনি ২০০১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। এখনো তিনি রাজনীতি ও ব্যবসাবিষয়ক প্রতিবেদন লিখেন। তিনি মিয়ানমারে একটি মিডিয়া প্রোডাকশন হাউজ পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানটি মূলত ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কিটাজুমির তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
কারাবন্দি কিটাজুমির শারীরিক অবস্থা ভাল আছে উল্লেখ করে জাপানি দূতাবাস জানিয়েছে, তাঁর মুক্তির জন্য জান্তার সঙ্গে দেনদরবার চলছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ বহু নেতাকে আটক করা হয়। এরপর থেকে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। কয়েক হাজার মানুষকে আটকও করা হয়।
সেনা অভ্যুত্থান এবং এর পরবর্তী বিক্ষোভ ও সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের সংবাদ সংগ্রহের পাশাপাশি কিটাজুমি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে আসছিলেন।
১২ এপ্রিল তিনি শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভের প্রশংসা করে পোস্ট দেন। ফেসবুকে তিনি লেখেন, বিক্ষোভকারীদের অনেকেই বয়সে তরুণ। এদের দোষটা কোথায়? সমাজে চলমান অন্যায় প্রতিরোধে এরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে।