যুদ্ধ থেকে বাঁচতে পালিয়ে তুরস্কে, সিরিয়ায় ফিরল ১৫০০ মরদেহ
নিজ দেশ সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বাঁধার পর প্রতিবেশী তুরস্কে আশ্রয় নেন লাখ লাখ সিরীয় নাগরিক। তুরস্কে গিয়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাঁচলেও শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণ গেছে কয়েক হাজার সিরীয় নাগরিকের। এখন এসব প্রাণহীন দেহ ফিরে যাচ্ছে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের বাব আল-হাওয়া ক্রসিং দিয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫২২ জনের মরদেহ সিরিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের এক কর্মকর্তা। ওই মরদেহগুলো সিরিয়ায় সমাহিত করা হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তুরস্কের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যেসব সিরীয় শরণার্থী আছেন তাদেরও এখন নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দিয়েছে আঙ্কারা।
ভূমিকম্পের আগে তুরস্কে যেসব সিরীয় শরণার্থী ছিলেন, তারা যদি নিজ দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন তাহলে তাদের বিশেষ অনুমতি নিতে হতো। কিন্তু গত বুধবার থেকে এ নিয়ম স্থগিত করা হয়।
এরপর ওইদিনই ১ হাজার ৭৯৫ সিরীয় সাময়িকভাবে তাদের নিজ দেশে ফিরে যান।
আগে নিয়ম ছিল, যদি কোনো সিরীয় শরণার্থী অনুমতি ছাড়া তুরস্ক থেকে সিরিয়ার ভেতর ঢোকেন তাহলে তাদের বিশেষ সুবিধা বাতিল করে দেওয়া হবে এবং আগামী পাঁচ বছর তারা তুরস্কে প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু আপাতত এ ঝামেলা নেই।
এদিকে গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মরদেহ চাপা পড়ে থাকায় এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।